জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
তিনি আজ বিকালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ কৃত্রিম নৌচলাচল চ্যানেলের উদ্বোধন ও বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে বড় জাহাজ সরাসরি বিদেশি সমুদ্র বন্দরে যেতে পারবে এবং পণ্য লোড-অফলোড করা আরও সহজ ও সস্তা হবে এবং সময় সাশ্রয় হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শুধু নয় নেপাল, ভুটান এবং ভারতও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই ধরনের ব্যবহারে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরকে আরও কার্যকর করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্লু ইকোনমি নীতি গ্রহণ করেছি এবং আমরা নীতিটিকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সমুদ্র আইন প্রণয়ন করেন এবং জাতিসংঘ প্রণয়ন করে ১৯৮২ সালে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার আইনের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক এলাকা সফলভাবে অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আগের কোনো সরকার এ বিষয়ে কিছুই করেনি।
শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার মাতারবাড়িতে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং অন্যান্য উন্নয়ন কাঠামোর পাশাপাশি সেখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এলাকাটি জাতীয় বাণিজ্য ও ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গভীর সমুদ্র বন্দর পরিচালনার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় এলাকাটিকে শুধুমাত্র লবণ আহরণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল, কিন্তু এখন এলাকাটির উন্নয়ন করা হচ্ছে।
দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য তাঁর সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকারের বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ বদলে গেছে।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত এবং এর নাগরিকরা এখন সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে করতে পারে।
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই গতি বজায় রেখে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিক নিপীড়নের অবসানের পাশাপাশি জনগণের শান্তিতে বসবাস নিশ্চিত করতে বিশ^ নেতৃবৃন্দের নিকট তাঁর যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং সংঘাতে না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বৈশ্বিক শান্তি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যরাও একই কাজ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান (সিপিএ) রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ সোহাইল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।