দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইতালি ও হংকং যাচ্ছে বাঘার আম

জুমবাংলা ডেস্ক: রাজশাহীতে অপরিপক্ক আম পাড়ার কারণে গত কয়েক বছর ধরে সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসক। বুধবার (৩ মে) এক বৈঠকে চলতি বছর আম পাড়ার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। সেই বৈঠকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রথম দিনে জেলার বাঘা উপজেলা থেকে ৪৪০ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে হংকং ও ইতালিতে।

জানা যায়, এ বছর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা পাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার বাঘার আড়পাড়া এলাকার একটি আম বাগান থেকে আম প্যাকেজিং করে ঢাকার আদব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ৪৪০ কেজি গুটি (চরুসা) ইতালি এবং হংকংয়ে আম রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়াও রাজধানীতে সুপার শপ ইউনিমার্ট এ যাচ্ছে আরো একশ কেজি আম।

ছবি-সংগৃহীত

এর আগে আড়পাড়া গ্রামের কৃষক মকুল হোসেন ও জিন্নাত আলীর বাগান কিনে নেন লিড ফার্মার শফিকুল ইসলাম ছানা। উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ এসে বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে আম পাড়ার শুভ উদ্বোধন করেন।

সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, গুটি প্রজাতির আমের এই প্রথম চালান যাচ্ছে হংকং ও ইতালিতে। এটি আগাম জাতের আম। খেতেও খুব ভালো এবং সুস্বাদু। এ আম স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা বেশি। তবে মৌসুমের প্রথম দিন ৩০০ কেজি ইতালি এবং ৭০ কেজি পাকা ও ৭০ কেজি কাঁচা আম হংকংয়ে রপ্তানি করা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাজশাহীকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও বাঘা উপজেলা আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত। জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয়, তার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। প্রায় ৮-১০ বছর ধরে এ উপজেলার আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইতালি, হংকং, নেদারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে এ উপজেলার আম রপ্তানি করা হয়।

প্রতি গাছে দেড়-দুই মণ ফল: ইউটিউব দেখে সবজির বদলে আঙুর চাষ, সাত মাসেই চমক