জুমবাংলা ডেস্ক : এক বছর আগেও পটুয়াখালী পৌরসভার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো জেলার সর্বস্তরের মানুষকে। অমর একুশের প্রথম প্রহরে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মতো ঘটনা ঘটতো। আর অপ্রশস্ত সড়কের কারণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হতো স্থানীয়দের।
তবে সম্প্রতি সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে পটুয়াখালীতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন শহিদ মিনার নির্মাণ করেছে পটুয়াখালী পৌরসভা কতৃপক্ষ। এতে সকল প্রকার ভোগান্তি দূর হবে বলে আশা স্থানীয়দের। নব নির্মিত শহিদ মিনারের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা যাবে বলে খুশী স্থানীয়রা।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, আমাদের নীতি ও নৈতিকতার যে আদর্শের পাদুপিট সেটা হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। আর এই ভাষা আন্দোলন এর পাদুপিট থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর্জিত হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে আসা করছেন ২১ শে ফেব্রুয়ারীর আগেই মূল কাজ শেষ করা হবে। তবে আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পটুয়াখালির এই শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার হিসেবে স্থান পাবে বলে মনে করছেন সকলে।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ ও পুকুর সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। ফোর লেনের পাশেই বিশাল খোলা স্থানে আধুনিক গাড়ি পাকিংয়ের ব্যবস্থা, সাধারণ মানুষ এক পাশ দিয়ে হেটে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে অন্য পাশ দিয়ে চলে যাবে। এতে জটলা থাকবে না। এটি মূলত তুর্কীর ভাসকিন স্পর্টের আদলে নির্মিত হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু জানান, সরকারের উল্লেখিত অর্থায়নে পটুয়াখালী পৌরসভার বাস্তবায়নাধীন শহীদ মিনারটি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে করা হলেও এটি হবে আরো উন্নত ও দৃষ্টিনন্দন। এটি হবে দেশের অদ্বিতীয় শহীদ মিনার। এটি দেখতে দেশ-বিদেশের লোকজন আসবে বলে বিশ্বাস করেন পৌরসভার এই নির্বাহী প্রকৌশলী।
পটুয়াখালী পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) উচ্চতার এ শহিদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। এছাড়াও ৩০০ ফুটের গ্যালারি সহ ১০ একর এলাকায় পুকুরের দক্ষিণ পাশে থাকবে মুক্তমঞ্চ, সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের অনুষ্ঠান করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।