জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯২তম ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
শুক্রবার শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ এ কথা জানান।
এবার ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। জামাতে ইমামতি করবেন প্যানেল ইমাম শহরের মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এবার নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদেরকে শুধুমাত্র জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুরোধ করেছেন। মুসল্লিসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঈদ জামাত সম্পন্ন হবে। নির্বিঘœ ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ জামাত সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডের ২টি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিনস্তরে এবং ৮টি সেক্টরে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি চেকপোস্ট, ১৭টি পিকেট, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার,বোম্ব ডিসপোজাল টিম,মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা,ওপেন সার্কিট ক্যামেরা থাকবে।
এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে মাঠের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার, ওজুখানা সংস্কারসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করা হয়েছে।
ঈদের জামাতে অংশগ্রহনের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দু’টি স্পেশাল ট্রেন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দু’টি ট্রেন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ ভোর ৫টায় ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সাড়ে ৫টায় শোলাকিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং দুপুর ১২টায় উক্ত ট্রেন দুটি আবার গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যাবে।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছর ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ হয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।