জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘর থেকে এক লাফে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক শুন্য ৪ বিলিয়ন বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। করোনার এই কঠিন সময়ে এটাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। ব্যাংকাররা বলছেন, সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না।
করোনার প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে তারল্য সহায়তা পাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে রিজার্ভ এতোটা বেড়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এ তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।