জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘যারা সরকারি দল করেন শুধু তারাই যেন বেহেস্তে আছেন। আর দেশের মানুষ যেন দোযখের আগুনে জ্বলছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ টাকার অভাবে বাজার করতে পারছে না, আর একটি অংশ দেশে টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই, মৌলিক অধিকার নেই মানুষের। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সময়ে এক বছরেই শুধু সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, সেখানে শুধু লুটপাটের জন্যই মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা লুটপাট।
আজ বিকালে রাজধানীর উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে উত্তরখান থানা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনই প্রমাণ করে কর্তৃত্ববাদী কোনও সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন চাইলেও, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।’
জিএম কাদের বলেন, সরকার ও সরকারী দলকে খুশি করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন অনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করে। গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক জাল-জালিয়াতির জন্য আমরা নির্বাচন বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম। নির্বার্চন কমিশন নির্বাচনটি বন্ধ ঘোষণা করেছে। সেজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, নতুন তফসিল ঘোঘণার মাধ্যমে গাইবান্ধা-৫ আসনে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কোন জালিয়াতির নির্বাচন আমরা মেনে নেবো না। আমরা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী কোনও সরকারে অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবার সুযোগ নেই। নির্বাচনে সরকার সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দি সহ্য করতে পারে না, প্রতিটি নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্দিতায় জিততে চায় সরকার। নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করলে হামলা ও হয়রানীমূলক মামলার শিকার হতে হয়।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ভয়াবহ লোড শেডিং-এ নাকাল দেশ। ডলারের অভাবে জ¦ালানি তেল কিনতে পারে না দেশ। তাই চাহিদা মত বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারছে না সরকার। কলকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হুমকীর মুখে হচ্ছে রফতানী শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা আয় হুমকীর মুখে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বলে, সরকার ঘরে ঘরে বেকার সৃষ্টি করেছে। মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। শিশুখাদ্য কিনতে পারছে না অভিভাবকরা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম পুষ্টিহীন জাতিতে পরিণত হবে। মানুষ বাজার করতে পারছে না, বাজারে যেন আগুন লেগেছে। বাজারের আগুনে পুড়ছে কোটি কোটি পরিবার। টাকার অভাবে মানুষ চিকিৎসা করতে পারছে না, ওষুধ কিনতে পারছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।