মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন মডেল জেসিয়া ইসলাম। সেখানে তাঁর আলোচিত ন্যাশনাল কস্টিউমটি ডিজাইন করেছেন মাত্র ২০ বছর বয়সী নবীন ডিজাইনার খালিদ ত্বকী। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম। বিশ্বের ৭০ প্রতিযোগীর সঙ্গে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে টিকেছিলেন তিনি।
প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেই বিভিন্ন লুকে মঞ্চ মাতিয়েছেন জেসিয়া। কখনো বোল্ড সাঁতারপোশাকে উত্তাপ ছড়িয়েছেন আবার কখনো পোশাকের মাধ্যমে প্রতিবাদের বার্তা দিয়েছেন। জেসিয়া ছিলেন সেরা ২০ জনের তালিকায়। তবে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলাম।
এই যাত্রায় জেসিয়ার একটি কস্টিউম একটু বেশিই নজর কেড়েছে। দেশে গত জুলাইয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে ব্যবহৃত একগুচ্ছ শব্দে তৈরি এই পোশাকে থাইল্যান্ডের ফ্যাশনের মঞ্চে দেখা গেছে এই মডেলকে। মূলত আন্দোলনের সময় ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্যবহার করা শব্দগুলো নিজের গাউনে তুলে ধরেছেন জেসিয়া।
তবে শুধু এই আলোচিত পোশাক বা সেই পোশাকে নিজেকে তুলে ধরা সামনের মানুষটিই নন, হাল ফ্যাশনের মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস রইল এই সৃজনশীল কাজের নেপথ্যের নায়ককে। কথা হচ্ছিল মাত্র ২০ বছর বয়সী জেন–জি ডিজাইনার খালিদ ত্বকীর সঙ্গে। তিনিই রূপকার এই পোশাকের।
এই তরুণ জানালেন, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে ফ্যাশন স্ট্যাটিকস বিভাগে থার্ড সেমিস্টারে পড়াশোনা করছেন তিনি। ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন ত্বকী। মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের ফাইনালের এক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জেসিয়া ইসলাম যোগাযোগ করেন খালিদ ত্বকীর সঙ্গে।
এর আগে ফ্যাশন রানওয়ে সিজন ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি এবং গ্ল্যাম আর্ট ফ্যাশন ম্যাগাজিনের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় কস্টিউম ডিজাইন করেন। ভালো ও সৃজনশীল কাজ করার জন্য ইতিমধ্যে পরিচিত মহলে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
মিস গ্র্যান্ডের মূল থিম ছিল ‘স্টপ ওয়ার অ্যান্ড ভায়োলেন্স’। সেই থিমকে মাথায় রেখে জেসিয়া পরামর্শ দেন জুলাই আন্দোলনকে থিম করে ন্যাশনাল কস্টিউমের জন্য পোশাক ডিজাইনের। সেভাবেই কাজ করা হয়। আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশগ্রহণ করতে যান, তাঁদের সঙ্গে বড় একটা টিম থাকে মেকআপ, কস্টিউমসহ সব বিষয়ে সাপোর্ট দিতে।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রে থাকে কিছু সীমাবদ্ধতা। এই প্রতিযোগিতায় জেসিয়া একাই গিয়েছেন। তাই নিজের পোশাক ও অনুষঙ্গ নিজের লাগেজেই বহন করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। সে কারণে এমন কস্টিউম ডিজাইন করা হয়েছে, যা সহজে ভাঁজ করা যায় এবং কুঁচকে যায় না।
ত্বকী বললেন, তিনি খুবই খুশি এত কম বয়সে আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে বলে। জানালেন, আরেকটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ন্যাশনাল কস্টিউম ডিজাইনের কাজ করছেন এখন। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘বিয়ের মৌসুম এলে দেখা যায় সবাই কেনাকাটা করতে পার্শ্ববর্তী দেশ বা অন্য দেশে যান। নামকরা কোনো ডিজাইনারের পোশাক কেনেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।