জুমবাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ক’রোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকার লকডাউন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতে পারে। তবে আমরা লকডাউন চাই না। ক’রোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকার আরো কঠোর হবেন।
তিনি বলেছেন, ওমি’ক্রনের হানা থেকে সারা পৃথিবীর চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। ইতোমধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে ক’রোনার মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট দেশের বাজারে এসেছে। তবে এ ট্যাবলেট টিকার বিকল্প নয়। ক’রোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের সামান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে তারাও এ ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন।
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজ মিলনায়তনে বুস্টার ডোজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ইতোমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে ক’রোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য নতুন আরও ৬ কোটি সিরিঞ্জ চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ক’রোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রায় ৫০০ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। শতাংশের হার অনুযায়ী প্রায় পৌনে তিন। কিন্তু সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং টিকা নেয় তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকার কোনো সংকট নেই। ইতিমধ্যে সাত কোটি মানুষ প্রথম ডোজ, পাঁচ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আরো ছয় কোটি টিকা মজুদ রয়েছে। আরো টিকা পাইপলাইনে আছে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলেও জাতীয় পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো পরিচয়পত্র, এমনকি মোবাইল ফোনের নম্বর দিয়েও টিকা নেওয়া যাবে। ক’রোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আমাদের উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে।’
বুস্টার ডোজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রমজান আলী, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।