জুমবাংলা ডেস্ক : বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া এক শিশুসহ আট বাংলাদেশি নারীকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টার সময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তারা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলার আব্দুল বাতেনের মেয়ে হাজরা খাতুন, যশোরের মনিরামপুর থানার আব্দুর রহমানের মেয়ে সালমা খাতুন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আব্দুল আজিজের মেয়ে সেলিনা বেগম, যশোরের বেনাপোলের আয়ুব আলীর মেয়ে হাজিরা খাতুন, একই জেলার শেখহাটির শওকত আলী বিশ্বাসের মেয়ে মাজেদা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার রতন মণ্ডলের মেয়ে রুশিয়া মণ্ডল, পটুয়াখালী জেলার হাকিম হাওলাদারের মেয়ে রেখা বেগম ও মাগুরা জেলার তরফ বিশ্বাসের মেয়ে রিয়া বিশ্বাস (৮)। আটজনের মধ্যে ৭ জনের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ফেরত আসা শিশুসহ আট বাংলাদেশিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, থানার কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দুটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীতে এনজিও সংস্থাগুলো তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে।
ভারত থেকে ফেরত আসা নারীদের বেনাপোল থানা থেকে গ্রহণকারী যশোর রাইটসের তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুর জানান, ভুক্তভোগী নারীরা ভালো কাজের আশায় বিভিন্ন সময় দালালের প্রলোভনে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। পরে এরা ভারতের মুম্বাই শহরে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরবর্তীতে ভারতের মুম্বাই রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে দুই বছর নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে এদের ট্রাভেল পারমিটে আজ বিকেলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই এদের যশোর শেল্টার হোমে নেয়া হবে। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।