জুমবাংলা ডেস্ক: ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি গ্যাসকূপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। ঐ সময়ের মধ্যে ৬১৮ এমএমসিএফটি গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা আগামী ৫ বছরে ১০০০ এমএমসিএফটি গ্যাস জাতীয় পর্যায়ে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির বিশ্ববাজার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে আমরা দ্রুত গ্যাস পেয়েছি। কিন্তু গত ১০ বছরে ভালো ফলাফল পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি। বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন উত্তোলন ও ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। তবে এলএনজির ওপর কিছু নির্ভরতা থাকবেই। কিন্তু তার পরিমাণ কত হবে- সেটা নির্ভর করবে গ্যাস উত্তোলনের ওপর।
জ্বালানি সচিব বলেন, ভোলার গ্যাস যেন আমরা বের (উত্তোলন) করে আনতে পারি সে পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে ১০০০ এমএমসিএফটি গ্যাস আমরা জাতীয় পর্যায়ে যুক্ত করতে পারবো, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গভীর সমুদ্র আমাদের যে গ্যাস দেবে সেটা তোলার সক্ষমতা বাপেক্সের নেই। বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে উত্তোলন করতে হবে।
সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম, ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলমসহ পেট্রোবাংলা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।