জুমবাংলা ডেস্ক: করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঝুঁকি কমাতে দেশে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) করোনার বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকাদানের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। তিনিই আজ প্রথম বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
এরপর বুস্টার ডোজ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রবিবার দুপুরে ‘বুস্টার ডোজ’ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক। দেশের ষাটোর্ধ্ব নাগরিক, চিকিৎসকসহ সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সরকারের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ফাইজারের টিকা দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যারা অন্য টিকা নিয়েছেন তারাও ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা অনেক দেশের আগেই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে টিকা প্রদান করছি, সাধারণ জনগণ-স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি। এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক- সবাইকেই টিকা দিচ্ছি।’
বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপসকে হালনাগাদ করা এখনো সম্ভব হয়নি বলে জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় বলেছে, ২৮ ডিসেম্বরের আগে এটিকে হালনাগাদ করা সম্ভব হবে না। তাই অ্যাপসের মাধ্যমে বুস্টার ডোজের নিবন্ধন এখনই শুরু হচ্ছে না। তবে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। বিভিন্ন কার্ডের মাধ্যমে এটি করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এর অর্থ হলো ১২ কোটি মানুষকে টিকা দিতে হবে। এর জন্য ২৪ কোটি টিকা লাগবে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দিতে দিতে গেলে ১৩ কোটি টিকা লাগবে। এখন মাঠপর্যায়ে ৪ কোটি ৬৩ লাখ টিকা আছে। আরও ৬ কোটি ৫৫ লাখ টিকা চলতি মাসের মধ্যে আসবে। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে আরও ৯ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। আগামী ৩১ মার্চের ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টিকা হাতে থাকবে। টিকার কোনো ঘাটতি হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে ফাইজারের আরও ২ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে। এই ফাইজারের টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।