জুমবাংলা ডেস্ক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানে শিল্প মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। খবর ইউএনবি’র।
শুক্রবার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরির্দশন শেষে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ অঞ্চলে শিল্প সম্ভাবনা ও কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলার সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করতে তিনি এ সফরে গিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর একটি সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে চারটি দেশের বাণিজ্য চলে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে একটি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এখানে উৎপাদিত পণ্য বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে আশপাশের দেশগুলোতে রপ্তানি করতে পারলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কেউ কর্মহীন হবে না। বরং কর্মসংস্থান বাড়বে। চিনিকলগুলো বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না, যোগ করেন তিনি।
সভায় রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে রেলের সাথে সংযুক্ত করতে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের সম্ভাবতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি শিগগিরই এ রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ভারতের শিলিগুঁড়ির সাথে সংযুক্ত করা হবে। এজন্য স্থলবন্দরের একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেড আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, আমদানি-রপ্তানীকারক আবু তোয়বুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবুল, পঞ্চগড় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইয়াছিন আলী মন্ডল, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা পঞ্চগড়ে চায়ের নিলাম বাজার ও কাঁচ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা স্থাপনে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।