ফুটবল শৈলীর জন্য আর্জেন্টিনার জনপ্রিয়তা দুনিয়াজুড়ে অনেক বেশি। তবে ফুটবলের বাইরে দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনার কেমন তা নিয়ে অনেক কিছুই সবার অজানা। ১৮১৬ সালে সালে আর্জেন্টিনা নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
স্পেনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে আর্জেন্টিনা বিজয়ী হয়। উনিশ শতকের শেষ দিকে আর্জেন্টিনায় সামাজিক এবং কৃষি বিপ্লব শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ধনী দেশগুলোর একটি ছিল। সেখানে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটেছিল।
বিংশ শতাব্দীর সময়ে আর্জেন্টিনা বিশ্বের সপ্তম ধনী দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল। ইউরোপের মানুষের মতো লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত ছিল আর্জেন্টিনার জনগণ। ১৯৪০ থেকে সেই সুন্দর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পতন ঘটতে শুরু করে।
ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং জাতীয় ঋণের সমস্যার ফলে আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত তারা অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্র হওয়ায় ৯২ শতাংশ জনগণ শহরের অঞ্চলেই বসবাস করে। তাদের রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সকে কেন্দ্র করে অনেক মেট্রোপলিটন শহর গড়ে উঠেছে। সেখানে এক কোটির বেশি লোক বাস করে থাকে।
তাদের রাজধানীতে বেশ কিছু অসাধারণ স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন রয়েছে। তাদের রাজধানীকে প্যারিস অথবা রোমের সাথে তুলনা দেওয়া যেতে পারে। শহরের রাস্তা বেশি মনোমুগ্ধকর এবং বেশ প্রশস্ত।
আর্জেন্টিনার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শহর হচ্ছে মার বেল প্লাটা, লা প্লাটা, রোসারিও, করদোভা, নিও কেন। রপ্তানিমুখী কৃষি খাত, প্রাকৃতিক খনিজের সহজলভ্যতা এর কারণে তাদের অর্থনীতি বৈচিত্রময়।
দক্ষিণ আমেরিকায় অর্থনীতির দিক দিয়ে আর্জেন্টিনার আগে আছে শুধুই ব্রাজিল। একটা সময় তাদের অর্থনীতি ফ্রান্স ও ইতালির থেকেও ভালো অবস্থানে ছিল।
১৯৮০ সালের পর থেকে তাদের মুদ্রা পেসো এর মান কমতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তারা আইএমএফ এর দ্বারস্থ হয়। ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতি ৯২ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
আর্জেন্টিনার ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু বেশ বৈচিত্রময়। আন্দিজ পর্বত মালার একটা বড় অংশ আর্জেন্টিনার মধ্যেই অবস্থিত। সম্ভবত ভবিষ্যতে তাদের অর্থনীতির আবারও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।