ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণ ঘটে গেল বৃহস্পতিবার। তিনি ছিলেন একজন সংস্কতিমনস্ক রাজনীতিক ব্যক্তি। তাই তো রং-দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক মহলের মতই শোকেবিহ্বল হয়ে পড়ে ওপার বাংলার তারকারা। লাল সালামে কমরেডকে বিদায় জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জনজোয়ারে ভাসলেন টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দলে দলে লোক এদিন জমায়েত হয়েছিল। তা দেখে নায়িকার অভিমত, মানুষের মনে আলাদা জায়গা না থাকলে এই ঘটনা ঘটে না।
সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি যখন পৌঁছেছি, তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় অফিসের কার্যালয় থেকে দেহ নীলরতন সরকার হাসপাতালের দিকে নেওয়া হচ্ছে। আমার জন্য শববাহী শকট কয়েক মুহূর্তের জন্য থামান হয়েছিল। জনস্রোতে ভাসতে ভাসতে গাড়ির কাছে পৌঁছলাম।’
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘পথে নেমে বুঝলাম, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কী ভাবে মানুষের মন জুড়ে রয়েছেন। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পথের ধারে দাঁড়িয়েছেন তাকে শেষ দেখা দেখবেন বলে।’
শুধু বাংলাদেশ না, তোমরা সারা দুনিয়া পাল্টে ফেলতে পারবে: ড.ইউনূস
বরাবর আপাদমস্তক সাদা পোশাকে সজ্জিত বুদ্ধদেব ঋতুপর্ণার কাছে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ ছাড়াও একজন ভাল মানুষ। অভিনেত্রীর মতে, মৃত্যুর পরেও তাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সুন্দর চেতনার প্রকাশ ঘটেছে দেহদানের মাধ্যমে। তিনি বলেছেন, ‘আমার পিসিমা, পিসেমশাই একই পথের পথিক। আমিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটব। দাহ করার বদলে দেহ দান করে গেলে আমার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়ত কোনও মৃত্যুপথযাত্রীকে জীবনের পথে ফেরাতে পারবে। তার মধ্যে দিয়ে আমিও বেঁচে থাকব চিরকাল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।