দেশে ক রোনায় একদিনে আরো ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিলো গত ৩ মে। সেদিন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস কেড়েছিলো ৬৫ জনের প্রাণ।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৪০ জন। নতুন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৮৪০ জন শনাক্ত হন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.৪৪ শতাংশ। গতকাল ছিলো ১৬.৬২, মঙ্গলবার ছিল ১৪.২৭ ও সোমবার ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩.৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন ও নারী ১৮ জন। তাদের ৪৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা যান ৮ জন।
মৃতদের মধ্যে ২০ জন খুলনা বিভাগের, ১৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১০ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে কো ভিড রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে।
মৃতদের মধ্যে ৩১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
গত একদিনে ক রোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম ক রোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে ক রোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে ক রোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩৪ জনের ক রোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ক রোনা পজিটিভ হয়েছে ৯ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ক রোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী ভর্তি হননি। তবে হাসপাতাটি থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই জন।
প্রসঙ্গত, কো ভিড ও নন কো ভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক রোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।