স্পোর্টস ডেস্ক : বাস্তবে তা ঘটেনি। তামিম রয়েছেন নিজের ঢাকার বাসায়ই। গত ২ মে (শনিবার) থেকে নিয়মিত করছেন ফেসবুক লাইভের আয়োজন। সেখানে অন্যান্য ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে দিচ্ছেন মজাদার সব আড্ডা। তেমনই এক আড্ডায় শনিবার (১৬ মে) মজা করেই ঢাকা থেকে দৌড়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা বলেছেন তামিম।
তামিমের এ ফেসবুক লাইভের সবশেষ পর্বের অতিথি ছিলেন জাতীয় দলের তিন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের আড্ডা এ পর্বেই দিয়েছেন তামিম। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ আড্ডায় এসেছিল ফিটনেস প্রসঙ্গ।
তখন মুমিনুলকে তামিম জিজ্ঞেস করেন, ‘ফিটনেসের কী অবস্থা? কাজটাজ কী করতেছিস?’ মুমিনুলের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘ফিটনেস আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। জিমের কিছু সরঞ্জাম কিনে রাখছিলাম। ট্রেডমিল আছে। এভাবেই টুকটাক চালায় নিচ্ছি।’
সৌম্যকে আর ফিটনেস নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেননি তামিম। কেননা তিনি সৌম্যর প্রোফাইলেই দেখেছেন ফিটনেস ট্রেনিংয়ের নানান ভিডিও। তবে মুমিনুলের মতো ট্রেডমিল নেই সৌম্যর বাসায়। তাই তিনি ডাম্বেল জাতীয় কিছু জিনিস কিনে নিয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকা থেকে চলে গিয়েছেন সাতক্ষীরায়। সেখানেই করছেন ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ।
লিটনের ফিটনেস বিষয়ক কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ডানহাতি এ স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমার চলতেছে ভাই। বাসায় ট্রেডমিল আছে। দৌড়াদৌড়ির ওপরই আছি তাই।’ তার কথার মাঝেই তামিম বলেন, ‘আমি তো চট্টগ্রাম চলে গেছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে গেছি দৌড়াইতে দৌড়াইতে।’
তামিমের এ মজার সুযোগটা নে মুমিনুলও। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ৫-৭ কিমি. করে দৌড়াচ্ছেন। এমনে কয়দিন পর ভারত চলে যাবেন নিশ্চিত।’
পরক্ষণেই চলে আসে ট্রেডমিল বিষয়ক বিরক্তির কথা। লিটন বলেন, ‘প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলে একটা জিনিস খুব বিরক্ত লাগে। রানিং তো আমরা করিই প্র্যাকটিসে। এছাড়া ফুটবল খেলি, একটা মজার ভেতরে থাকি, ওখানেও ফিটনেসটা হয়। কিন্তু ট্রেডমিল একটা বোরিং জায়গা। সামনে কিছু দেখতেছি না, খালি দৌড়াও…ভাগো, ভাগো।’
একমত পোষণ করেন তামিমও, ‘আমার খুব বিরক্ত লাগে। এখন খুবই কষ্ট হচ্ছে ট্রেডমিলে দৌড়াইতে। রাস্তায় দৌড়াইলে যেমন নতুন নতুন জিনিস দেখা যায়। ভালো লাগে। কিন্তু এখন একদমই বোরিং।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।