জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া, নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে এবং দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ও ধরলা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে অবস্থান করছিল। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীর সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের ডুবে থাকা ঘরবাড়ির বানভাসী মানুষগুলো উচু স্থানে কিংবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অবস্থান করছে।
এখন পর্যন্ত বানভাসী প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অনেক বানভাসী তাদের ঘরের চাল পর্যন্ত পানি ওঠায় নৌকাতেই বাস করতে হচ্ছে। নিজের মজুদ করা খাবার রান্না করতে না পারায় কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ। এর উপর বিশুদ্ধ পানির সংকট।
চলতি বন্যায় পানি ওঠায় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র করার কারণে মোট ৩৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে রোপা আমন বীজতলাসহ প্রায় ৭হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ফসল।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মমিন আলী বলেন, আমার সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কী করে পরবর্তীতে এটা শামাল দেব জানি না।
একই উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কাপনা চরের সাধু বলেন, ৫-৬ দিন ধরে আমার চরের বাড়ির কানায় কানায় পানি। গরু ছাগল হাঁস মুরগী নিয়ে পাশের উঁচু একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়ে কোনমতে টিকি আছি। আমার এখানকার সবারই অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে।
সোমবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ৩৮৭ মে. টন চাল, ১৮ হাজার ৯৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৮৯ মে.টন চাল ও নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।