স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারেরটি স্থায়ী ও সুখকর না হওয়ায় জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসটি আরেকবার নতুন করে শুরু করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তরুণ ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম উম্মে তামান্না। চলমান করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ঘরোয়া পরিসরে শুক্রবার (১০ জুলাই) নিজ জেলা ময়মনসিংহে পারিবারিকভাবেই দু’পক্ষের উপস্থিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এদিন রাত ১২টার দিকে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে, নিজের আইডিতে এবং একইসাথে নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে নতুন এই জীবনের জন্য দোয়া চেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী জাতীয় দলের এই তরুণ অলরাউন্ডার। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
এর আগে ২০১২ সালে আপন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের সঙ্গে জীবনের জুটি বাঁধেন মোসাদ্দেক। তবে বিয়ের পর থেকেই সৈকতকে তার পরিবার ছেড়ে আলাদা সংসার করতে চাপ দিতে থাকেন শারমিন। একদিকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা অন্যদিকে স্ত্রীর আলাদা হওয়ার চাপ। এমনকী মায়ের সঙ্গে ঝগড়া ও গায়ে হাত তোলায় একপর্যায়ে স্ত্রীকে তালাক বা ডিভোর্স দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার।
ফলশ্রুতিতে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী শারমিন। বিষয়টি নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমার বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বুঝিয়েছি।’
সৈকত আরও বলেন, ‘আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন ও আমার মার সঙ্গে ঝগড়া করত। মায়ের গায়ে একাধিকবার হাতও তুলেছে সে। এসব কারণে আমি গত ১৬ আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেই।’
স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে মোসাদ্দেক হোসাইন বলেন, ‘ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তালাক দেয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চক্রান্ত করেছে।
সৈকত বলেন, ‘আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমার আসেনি যে যৌতুক নিয়ে আমার চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডিভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নির্যাতন বা যৌতুকের একটা মামলা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।’ পরে অবশ্য এ মামলা খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ২০১৩-১৪ মৌসুমে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুইবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন উদীয়মান এই ক্রিকেটার।
বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। ডানহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়েও পারদর্শী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এখন পর্যন্ত ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত ওয়ানডে খেলেছেন ৩৫টি এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১৪টি। টেস্টে ৪১ গড়ে মোসাদ্দেকের রান ১৬৪টি। অন্যদিকে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ২৭.৪ ও ২০.৩ গড়ে রান করেছেন যথাক্রমে ৫৪৯ ও ১৮৩টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।