আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে বেইজিংয়ে। চব্বিশ ঘণ্টায় চীনের রাজধানীতে ৩১ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উপস্থিতি। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ করাসহ বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বেইজিংয়ের হেলথ কমিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত ছয়দিনে শহরটিতে ১৩৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের অনেকেরই স্থানীয় একটি পাইকারি খাবার মার্কেটে যাতায়াত ছিল।
বেইজিংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্তের এই ঘটনাকে চীনে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নগরীর বেশ কিছু এলাকায় দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকির এলাকার জনসাধারণের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। অল্প সময়েই তা বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ ধারণ করে। অতি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চল যখন পর্যুদস্ত, তখন এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বেশ সাফল্যের পরিচয় দেয় চীন।
বেইজিংসহ চীনের অধিকাংশ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়াসহ লকডাউনও অনেক শিথিল করে সরকার। দেশটিতে সবকিছু যখন স্বাভাবিক অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন ফের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বেইজিংয়ের স্কুলগুলো আবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য আবারও অনলাইনভিত্তিক পাঠদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নগরীর পরিস্থিতি ‘খুবই ভয়াবহ’ বলে জানিয়েছেন বেইজিং সিটির মুখপাত্র জু হেজিয়ান। দ্বিতীয়ধাপের সংক্রমণ ‘গুচ্ছ এলাকাভিত্তিক’ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংক্রমণ বেশি এমন ৩০টি আবাসিক এলাকায় আরোপ করা হয়েছে লকডাউন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।