জুমবাংলা ডেস্ক : সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে থাকা ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তাকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
শনিবার রাত ১০টার পর ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারীর আগের স্বামী তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাকে বিয়ে করেছেন।
এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই হাফেজ মাহমুদ, হাফেজ মাহবুব ও মাওলানা মাহফুজুল হক।
ফেসবুকে লাইভে দেওয়া বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, টানা পরিশ্রমের কারণে আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আজ সেখানে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। পুলিশ আমার থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ছিলেন। তাদের দুটি সন্তানও আছে। এর পর পারিবারিকভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।
আজ থেকে তিন বছর আগের কথা। তখন তাদের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি আমি। তাদের উভয়ের সাথে কথা বলি। কিন্তু কোনভাবেই আর সেটি সম্ভব হয়নি। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাদের। ছাড়াছাড়ির পর দ্বিতীয় সংসার শুরু করেন হাফেজ শহীদুল ইসলাম। সেই বিবাহ আমি পড়াই। তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করছেন। সেই ঘরে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে আরেকটি সন্তান।
অপরদিকে হাফেজ শহীদ ভাইয়ের স্ত্রী হয়ে যায় অনেকটা অসহায়। এক রকমের কূলকিনারাহীন। রাগের মাথায় সংসার ভেঙে গভীর সংকটে পড়ে যান তিনি। ওই পরিস্থিতিতে তার জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আমার শরণাপন্ন হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ নেন। আর সেই দুঃসময়ে সহযোগিতা করার মত আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না তার।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন মাওলানা মামুনুল হক। তার অবরুদ্ধ থাকার সংবাদ শুনে কয়েকশ মানুষ রিসোর্টটির সামনে এসে জড়ো হন। এ সময় তারা স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।