জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে দ্রুতই তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা কাদির কল্লোল জানাচ্ছেন, খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এটা যেকোনো সময় হতে পারে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এর আগে বিবিসিকে জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতটি তারা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাদের চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তার চিকিৎসা দেবে।
এর আগে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, দুইটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এগুলো হলো, এই সময়ে তাঁর ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ”ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং এই সময় বিদেশে গমন না করার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।”
”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায় এই দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ”বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে, সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে, তখন থেকে এই ছয় মাস গণনা শুরু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।