বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুত ভ্রমণের একটি নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন। এ পদ্ধতি একটি সুপার হাইওয়ের মত কাজ করবে। যেভাবে ধুমকেতু এবং গ্রহাণও বৃহস্পতি থেকে নেপচুনে মাত্র ১০ বছরের কম সময়ে যেতে পারে সেভাবে স্পেসক্রাফট যেনো ভ্রমন করতে পারে তা নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা।
এ আবিষ্কারটি আমাদের সৌরজগতের দূরবর্তী স্থানে মহাকাশযান পাঠাতে সহায়তা করবে। আমাদের গ্রহে আঘাত করতে পারে এরকম গ্রহণুর উপর নজর রাখতে সহায়তা করবে এ বৈজ্ঞানিক প্রজেক্ট।
যে বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কার করেছেন তারা আমাদের সৌরজগতের বস্তুর মুভমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন। তারা দেখতে পেলেন যে, স্পেস ম্যানিফোল্ড নামের বিশেষ একটি পথ রয়েছে যা অনুসরণ করে মহাজগতিক বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে।
এ বিশেষ পথকে সেলসিয়াল হাইওয়ে বলা হয়। এ বিশেষ পথগুলি বেশ ব্যাতিক্রমী কেননা সৌরজগতের বিভিন্ন বস্তু কয়েক দশক ধরে দ্রুত চলাচল করতে পারে। সাধারণত কোন বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হাজার বা মিলিয়ন বছর সময় লেগে যাওয়ার কথা।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বৃহস্প্রতির শক্তিশালী মহাকর্ষ বলের কারণেই এই বিশেষ পথ তৈরি হয়েছে। আমাদের সৌরজগতের কিছু ধুমকেতু এবং ছোট অবজেক্ট রয়েছে যা এ বিশেষ পথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
এদের মধ্যে অনেক বস্তু বৃহস্প্রতি গ্রহের সাথে সংঘর্ষ হয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যাবে অথবা সৌরজগতের বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। সৌরজগতের লক্ষ লক্ষ কক্ষপথ থেকে ডাটা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা এ পথ খুঁজে বের করেছেন।
এ আবিষ্কারটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য অংশ দ্রুত অন্বেষণ করতে সয়তা করবে। আমাদের গ্রহে আঘাত হানতে পারে এরকম গ্রহণু ও এর উপর নজর রাখার জন্য এ জ্ঞান ব্যবহার করা যাবে।
তবে মহাকাশ এ ভ্রমণের জন্য এ বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে এ বিশেষ পথ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা দরকার। আরেকটি বিষয় অধ্যায়ন করা দরকার; তা হচ্ছে পৃথিবীর কাছাকাছি এ পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে যেখানে অনেক স্যাটেলাইট এবং স্পেস সংক্রান্ত বস্তু রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।