স্পোর্টস ডেস্ক : এই না হলে টি-টোয়েন্টি! দর্শক বিনোদনের সব আয়োজনই যেন ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটিতে। প্রথম ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে মাত্র ১ রানে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে আবারও শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। এবার জয়ী দল ইংল্যান্ড, তবে সেটাও প্রায় প্রথম ম্যাচের মতোই উত্তেজনা ছড়িয়ে। ডারবানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরেছে ইংলিশরা।
অথচ এই ম্যাচটাও জিততে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৫ রান। উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে (২৬ বলে) সেট ব্যাটসম্যান ভ্যান ডার ডাসেন। মারমুখী ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসই কি কম যান! টম কুরানের করা শেষ ওভারের প্রথম বলটি মিস করলেও পরের দুই বলে ছক্কা আর বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০ রান নিয়ে নেন প্রিটোরিয়াস। চতুর্থ বলে ডাবলস।
শেষ ২ বলে দরকার মাত্র ৩ রান, হাতে ৫টি উইকেট। কে জানতো, ম্যাচের সব রোমাঞ্চ জমা ওই শেষ দুই বলেই? পঞ্চম ডেলিভারিতে দারুণ এক ইয়র্কারে প্রিটোরিয়াসকে (১৩ বলে ২৫) এলবিডব্লিউ করে দেন কুরান। পরের বলটি শর্ট ফাইন লেগে মারতে গিয়ে আদিল রশিদের ক্যাচ হন নতুন ব্যাটসম্যান ফরটুইন। অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জয়ের আনন্দ তখন ইংলিশ শিবিরে।
লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার, ২০৫ রানের। তবে শুরু থেকেই মারমুখী প্রোটিয়াদের সামনে সেই লক্ষ্যকে কখনই বড় মনে হয়নি। ওভারপ্রতি প্রায় ১০ গড়েই রান তুলে এগিয়েছে স্বাগতিকরা।
বিধ্বংসী শুরুটা করে দেন কুইন্টন ডি কক। প্রোটিয়া অধিনায়ক মাত্র ২২ বলে খেলেন ৬৫ রানের টর্নোডো ইনিংস। যে ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মূলত তার ওই ইনিংসে ভর করেই বড় রান তাড়ার একদম দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল প্রোটিয়ারা, শেষ রক্ষা হলো না।
এর আগে জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, মঈন আলিদের ব্যাটে চড়ে ৭ উইকেটে ২০৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। রয় ২৯ বলে ৪০, বেয়ারস্টো ১৭ বলে ৩৫, স্টোকস ৩০ বলে অপরাজিত ৪৭ আর শেষদিকে মঈন ১১ বলে খেলেন ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।