জুমবাংলা ডেস্ক : ‘স্যার, আমাদের থ্রি-পিসটা পরতে দেন। ক্যাসিনোতে পেটের তাগিদে চাকরি করতে আসি এভাবেই বারবার র্যাব কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানায় ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোতে কর্মরত দুই তরুণী। ওয়েস্টার্ন ড্রেস না পরলে চাকরি থাকবে না। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনও সুযোগ নেই। জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?’ এমন মন্তব্য করেন র্যাব সদস্যদের কাছে।
জবাবে ওই র্যাব সদস্য নারী ক্যাসিনো কর্মীদের বলেন, ‘স্যারদের অর্ডার নেই’। দুই তরুণীর একজন নিজেকে রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী পরিচয় দেন। রিসেপশনিস্টের বেতন ২১ হাজার আর কার্ড বিতরণকারীর ১০ হাজার। তাদের চাকরি দৈনিক ১২ ঘণ্টা। গত দেড় মাস যাবত এই দুজন চাকরি করছেন বলে জানান।
ওই নারী ক্যাসিনো কর্মীরা র্যাব সদস্যদের আরও জানান, তারা মোট ৬ জন নারী পালাক্রমে ডিউটি করেন। তাদের স্বামী এখানে চাকরির কথা জানেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না। তারা বারবার নিজেদের নিরপরাধ দাবি করেন।
এরআগে বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবের নিষিদ্ধ জুয়ার ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ক্যাসিনোতে জুয়ার ফাঁকে ফাঁকে মদ্যপান চলছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব সদস্যরা। অভিযানের আগে থেকেই ক্লাবটি ঘিরে রাখেন র্যাবের সদস্যরা। তারা দুপুর থেকে সেখানে কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেননি।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযানের সময় ভেতরে থাকা এবং ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে, এই ক্লাবে আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসছিল। এসময় আমরা দেখি, ক্লাবের নিচতলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) চলছে। এছাড়া জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে চলছে ম*দ্যপানও।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইয়ংমেনস ক্লাবটিতে একটি ভিআইপি রুম আছে। যেখানে ৮ জন একসঙ্গে ‘ফ্লাশ গেম’ নামের জুয়া খেলতে পারতো। সেই আসরেই টাকার লেনদেন বেশি হতো। এছাড়া অভিযানে ৮টি জুয়ার টেবিল, ৬টি ইলেকট্রনিক ক্যাসিনো মেশিনের খোঁজ পায় র্যাব।
এদিকে খালেদ মাহমুদ ভূইয়া গ্রেফতারের পর এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচিত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটও গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন বলে জানা গেছে। বুধবার রাতভর হাজারও নেতাকর্মী রাজধানীর কাকরাইলে সংগঠনের কার্যালয়ে সম্রাটকে ঘিরে রাখে।
ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলে জানা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।