সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্টকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় চারটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কয়েক শ মানুষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মহসিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে চারটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক ফেসবুক পোস্টের জেরে এ হামলা চালানো হয়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েক শ মানুষ একত্র হয়ে প্রথমে অভিযুক্ত মহসিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর বসতবাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আলাদা চারটি মাজারে ভাঙচুর চালানো হয়, যার মধ্যে একটি মাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মাজারগুলো হলো—কফিল উদ্দিন শাহ, আবদু শাহ, কালাই শাহ ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এসময় একটি মোটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহসিন দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিলেন। বুধবারই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং মহসিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে মাজারে হামলার ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।