জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার নগরীর টাউন হলের সামনের সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সব ধর্ষণ মামলা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি, ধর্ষণের সর্বনিম্ন সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং সেই সঙ্গে ধর্ষকের জামিন নিষিদ্ধ করার আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে গত শুক্রবার মিঠাপুকুরে অভিযুক্ত ধর্ষক রুহুল আমিনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষার্থী আফরিন নাহার বলেন, ‘ঘর থেকে এক হাত দূরে গেলে আমরা মেয়েরা নিরাপদ নই। এক দেশ দুইবার স্বাধীন হয়ে কী লাভ? যদি নিশ্চিন্তে পথ চলতে না পারি। ধর্ষণ, যৌন হয়রানির শিকার হই। আমরা ধর্ষকদের ফাঁসি চাই। যাতে করে কেউ আর এমন অপরাধ করতে না পারে।’
আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাসসুম বলেন, ‘পত্রিকা, টেলিভিশন, ফেসবুকে চোখ বুলালেই কোনো না কোনো জায়গায় ধর্ষণের খবর। দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটা নির্মূল করতে হবে। বিচারের দাবিতে যাতে আমাদের সড়কে আসতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে ছাত্র-জনতা বসে থাকবে না।’
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা সমস্বরে, ‘ধর্ষকের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। পরে ধর্ষকের প্রতীকী ফাঁসি দেন।
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি জেলার মিঠাপুকুরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রংপুরের শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।