জুমবাংলা ডেস্ক: এমসি কলেজের তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাইফুর-অর্জুনকে আদালতে নেয়ার পথে বিক্ষুব্ধ জনতার ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ স্লোগান।
সোমবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিট। কড়া পুলিশ প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে। দু’জনই এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি। এর মধ্যে সাইফুর প্রধান আসামি। এ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করার আগেই আদালত চত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
সাইফুর ও অর্জুনকে আদালত চত্বরে হাজির করার পর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই বিক্ষোভ করেন উপস্থিত জনতা। এই দুই আসামিকে নিয়ে আসার পর আদালতে চত্বরে শতাধিক জনতা জড়ো হন। তারা দুই আসামিকে দেখা মাত্রই ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ শ্লোগান শুরু করেন। ‘জানোয়ার, জানোয়ার’ বলেও শ্লোগান দিতে দেখা যায় অনেককে। কেউ কেউ ‘মার, মার’ বলেও চিৎকার দেন। তবে, পুলিশ তৎপর থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জনতার এই ক্ষোভের মধ্যেই পুলিশ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সাইফুর ও অর্জুনকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করে।
আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক সাইফুর রহমান তাদের ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রবিবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুর রহমানকে ও হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দু’জন।
এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবেই পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।