জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার ইস্যুতে ফের উতপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। অভিযোগ দেওয়ার ১১ দিন পরও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। চলে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। এ সময় নিরাপদ ক্যাম্পাস ও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য, সহউপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেয়।
রসায়ন বিভাগের দুজন শিক্ষার্থী কালবেলাকে জানিয়েছেন, তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ দুই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছে চবি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং থিসিসের সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
ধর্ষণচেষ্টার এ ঘটনা এখনো অভিযোগ কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক জরিন আখতার জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে। এখন প্রতিবেদন লেখা ও সম্পাদনার কাজ করছেন। এটি সম্পন্ন হলে জমা দেওয়া হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়িন সেল তদন্তে নেমেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোঃ মাহবুবুল মতিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমেদ স্বাক্ষরিত রবিবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি চিঠির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গঠিত তদন্ত কমিটির স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী তিনি জীবিকা ভাতাদি পাবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।