জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে কলাবাগানে ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ওই কিশোরীর বাবা মো. আল আমিন উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের ঘটনা লুকাতে চেয়েছিল তার কথিত প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহান। এ জন্যই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে সে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ফারদিন ইফতেখার দিহান নামে এক তরুণকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এজাহারে মেয়েটির বাবা বলেছেন, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সাড়ে ৮টায় আমার স্ত্রী অফিসে এবং আমি সকাল সাড়ে ৯টায় ব্যবসায়ী কাজে বের হয়ে যাই। পরে আমার মেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে।
পরে আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি দিহান আমার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দ্যেশ্যে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। দিহান ফাঁকা বাসায় আমার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় তার শরীর দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে অচেতন হয়ে যায়। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিহান চালাকি করে আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে একমাত্র আসামি করে তার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তেমন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কারণ ধর্ষণের পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
স্কুলছাত্রীর কাজিন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেছি যে ওদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের পরে তার মৃত্যু হয়েছে। তার যে সহপাঠী ছিল তারাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর।
নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, ছেলের পরিবারের যারা ছিল, তারা কেউই বাসায় ছিল না। ছেলেটি একা বাসায় ছিল। কলাবাগানের ডলফিন গলির ওই বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে আমরা প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছি। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি যে, আসল আসামিকে শনাক্ত করে কঠোর আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি।
তিনি আরও বলেন, রক্তমাখা কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। এসব আমরা আলামত হিসেবে জব্দ করেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।