জুমবাংলা ডেস্ক: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধ*র্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধ*র্ষণের পর মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভ*পাত করানো হয়। মেয়েটি এখন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানায়, প্রায় তিন-চার মাস আগে আমি রাত ৯টার দিকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়েছিলাম। এসময় রিয়াজ আমার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর রিয়াজসহ রনি, শাহিদুল ও শয়ন আমাকে ধ*র্ষণ করে। এরা সবাই কিশোর ও তরুণ। রিয়াজ, রনি ও শয়নের বাড়ি ভেল্লাবাড়িয়া এবং পরস্পর আত্মীয়। অপরদিকে শাহিদুলের বাড়ি আড়াবাড়িয়া গ্রামে। আমি চিৎকার করলে তারা আমাকে ধা*রালো অস্ত্র ধরে। কাউকে জানালে আমার মা ও ভাইদের মেরে ফেলার হু*মকি দেয়। এ কারনে আমি তখন ভয়ে কাউকে কিছু বলি নাই।
মেয়েটির মা জানায়, আমার মেয়ে টিউবওয়েল থেকে ঘরে আসতে দেরি করায় তাকে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কারো বাড়িতে পাই নাই। পরে প্রায় দুইঘন্টা পর অসুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে। তখন সে কিছু আমাদের বলে নাই। ঢুলতে ঢুলতে বাড়িতে প্রবেশ করে। সপ্তাহ দুই আগে মেয়েটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। এসময় তার ব্লিডিং হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে জানতে পারি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।
ভূক্তোভোগি শিক্ষার্থীর বড় ভাই বলেন, আমি বৃহস্পতিবার প্রথমে ইউএনও স্যারের কাছে গিয়েছি। স্যার আমাদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। থানায় গেলে ওসি তদন্ত স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমার বোনের সঙ্গে একা কথা বলেন। এরপর বোনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী বলেন, সে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। তাকে জোড় করে গর্ভ*পাত ঘটানো হয়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ সেলিমা আক্তার বলেন, মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়েছিলো। পরে গর্ভ*পাত করা হয়েছে। মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
শয়নের মামা পলাশ জানায়, সবাই নিকট আত্মীয়-স্বজন। বিভিন্ন কারনে নিজেদের মধ্যে পারিবারিক রেশারেশি রয়েছে। তবে মেয়েটির স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। সে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অসামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকে। তাঁরা আমার ভাগনেসহ অন্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করলে প্রকৃত অপরাধী বের হয়ে আসবে।
বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুর হক বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়েটি তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থানায় এসেছিলো। মেয়েটি পেটের ব্যাথ্যায় তেমন কোনো কথা বলতে পারে নাই। তার ভাই তিনজনের নাম বলেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।