জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের মোংলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এক কিশোরীকে এলাকাবাসীর চাপে বিয়ে করতে হল ধর্ষককে। গত ৮ মাস ওই কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসছিল স্থানীয় একটি শিপিং কোম্পানীর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান (৬৫)। কিশোরীটি বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকালে পৌর শহরের শ্রমকল্যান রোডস্থ্ মানবাধিকার সংস্থার অফিস কার্যালয় বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। মানবাধিকার কর্মী সুমি লীলা জানান, ছোট সময় মা-বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাড়ী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল ১৩ বছরের কিশোরী। অভাবের তাড়নায় কোন উপায় না পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে মোংলা পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের ছাড়াবাড়ী এলাকায় চাচা মুনছুর গাজীর বাড়ীতে আসে ওই কিশোরী। চাচী শাহিদা বেগম’র সহায়তায় একটি শিপিং অফিসে ধোয়া-মোছার কাজ নেয় অভাবী ওই নির্যাতিতা কিশোরী। অফিসে কিছুদিন কাজ করার সুবাধে কিশোরীর দিকে কুনজর পরে ৬৫ বছরের অফিস ম্যানেজার হাবিবুর রহমানের। ধর্ষক হাবিব পৌরসভার মাদ্রাসা রোডস্থ আজাহার মোল্লার ছেলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর পুর্বক দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছিল লম্পট হাবিব। এক পর্যায় কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে হাবিবকে বিয়ের কথা বললে তালবাহানা করতে থাকে। এ খবর চাচী শহিদা বেগম জানতে পারলে হাবিবকে দ্রুত বিয়ের কথা বললে হাবিব বিয়ে করবে না এবং এ ঘটনা মিথ্যে বলে সব কিছু অস্বীকার করে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে দুশ্চরিত্রা বলে এলাকা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে হাবিব। হাবিবের চাপের মুখে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চাচি শাহিদা বেগম কিশোরীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে অসহায় নির্যাতিতা এ কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) এর উপজেলা শাখার সভাপতি সুমি লীলার কাছে যায়।
এক পর্যায় বিষয়টি ধর্ষক হাবিবুর রহমানকে জানালে পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হয় ম্যানেজার হাবিব। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মানবাধিকার সংস্থা (আসক)’র কার্যালয়ে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।