জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করে ৫ বছরের শিশু মোবাশ্বিরা খাতুন মাঈশা মনিকে। বৃহস্পতিবার মাঈশা হত্যা মামলায় গ্রেফতার জহরুল হক ছক্কু স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।
তিনি জানান, রংপুরের বড়বাড়ির ৫ বছরের শিশু মোবাশ্বিরা খাতুন মাঈশা মনিকে বাড়ির পাশের দোকানের সামনে থেকে মোয়া কিনে দেবে বলে বাড়িতে নিয়ে যায় জহুরুল ইসলাম রানা ওরফে ছক্কু। সেখানে দাদা সম্পর্কের ছক্কু তাকে ধর্ষণ করতে চাইলে মাঈশার হাতে থাকা কঞ্চি দিয়ে আঘাত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধাক্কা দিলে পাশের থাকা বাশের সাথে আঘাত পেয়ে মাঈশা মারা যায়।
জাকির আরো জানান, ছুক্কুর স্ত্রী ও সন্তানরা ৬ মাস থেকে শ্বশুর বাড়িতে ছিল। ঘটনার দিন ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে হত্যার পর প্রথমে লাশ বাড়ির পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে। পরে লাশটি বস্তাবন্দি করে নিজের ঘরের ভিতর লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যায় লাশ পাশের বাড়ির পাগলা হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে সেখান থেকে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় জহরুল।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই আমরা আলামত সংগ্রহ করি। এবং স্ব-উদ্যোগে এই মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করি। বুধবার দুপুরে ছক্কুকে কেরানীপাড়া থেকে গ্রেফতারের পর রংপুর সিনিয়ংর জুডিশিয়াল ম্যাডজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে সেখানে ছক্কু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয় ওই এলাকার মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাঈসাকে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে দিকে তার লাশ বাড়ির পাশের পুকুরের অর্ধেক পানিতে অর্ধেক উচু অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মাগরিবের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মাঈশাকে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করে মাইশার বাবা।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel