জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের নিচ থেকে কলেজছাত্রী তানজিলা আক্তার রুপাকে হ’ত্যা করে সৎভাই মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ধ’র্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর রুপার সৎভাই জুবায়ের আহমেদ সম্রাট তাকে সিটি সেন্টারের ১৪তলায় গলা টিপে হত্যার পর নিচে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে। যদিও ঘটনার দিন তার সৎভাই দাবি করেছিল, তাকে ঐ ভবনে বেড়াতে নিয়ে এসেছিলেন। একপর্যায়ে রুপা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায়। কিন্তু শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ ছিল পুলিশের। তাদের সেই সন্দেহই সত্যি হলো তদন্তে।
মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, ঘটনার দিন ১১ আগস্ট সিটি সেন্টারের বহুতল ভবনের ১৪তলার একটি রুমে রুপাকে নিয়ে যায় সৎভাই যুবায়ের আহমেদ সম্রাট। সেখানে রুপার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় সে। এতে রুপা চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করলে সম্রাট তাকে গলা টিপে হত্যা করে। হ’ত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ ১৪তলা থেকে নিচে ফেলে দেয় সে। এরপর তাকে আটক করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও রুপাকে ধর্ষণের পর হ’ত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সম্রাট। আমরা এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।
গতকাল রুপার মা সালেহা আক্তার বলেন, মাঝে মধ্যেই সম্রাট দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় আসতো। কিন্তু সত্-ভাই হলেও তো ভাই, তাই তেমন গুরুত্ব দিতাম না। রুপার জন্য সম্রাট আমার সঙ্গে কয়েকবার ঝগড়াও করেছে। কিন্তু সম্রাটের সত্যি এমন কুচিন্তা ছিল ভাবতে পারিনি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। রুপা দক্ষিণ গোড়ান আলী আহম্মদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।