জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘ধর্ষণ তো দূরের কথা, কেউ নারী সমাজের প্রতি বিন্দুমাত্র আড়চোখে তাকানোর সাহস করে, এমন কোনো কর্মী বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই। সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষণের ঘটনায় সবার আগে কে আন্দোলন করেছে? সবার আগে ছাত্রলীগ সেখানে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ধর্ষকদের বিচার না হবে, তারা কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে’।
রবিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় ছাত্রলীগ।
সমাবেশে জয় বলেন, নুর ডাকসুর সাবেক সব ভিপির মর্যাদাহানি করেছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রীকে ‘পতিতা’ ডেকেছে। এই ধর্ষকের কোনো দল নেই। তারা ধর্ষণও করবে, আবার আন্দোলনও করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ইতিহাস নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক করেছে সে। গুজবের মাধ্যমে ভিপি পদ বাগিয়ে নেয়া নুরের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে’।
সিলেটে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কেউ ছাত্রলীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘সিলেটের এমসি কলেজে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কেউ ছাত্রলীগ হতে পারে না। আপনারা জানেন, এই ঘটনায় সিলেটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যারা ধর্ষণ করেছে, তারা যদি ছাত্রলীগ হয় তবে যারা আন্দোলন করেছে, তারা কারা’?
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।