জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ষণ মামলার বাদীকে অসহযোগিতার অভিযোগে বগুড়ার ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহসানুল হককে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার সকালে তাকে থানা থেকে ক্লোজ করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ওই স্কুলছাত্রীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় ১৬ জুলাই গ্রামের রাস্তা থেকে অপহরণ করে। স্কুলছাত্রী ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে পার্শবর্তী কুনকইনা গ্রামে নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মাসুদ ও ফজলুল হক ছাড়া আরো পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন তার স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
মামলার বাদি বলেন, এ ঘটনায় ধুনট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অসহযোগিতা করেছে। তবে মামলা নিয়েছে অপহরণের ২৬ দিন পরে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ইউপি সদস্য ফজলুল হকের নাম বলতে নিষেধ করেছেন। এ কথায় রাজি না হওয়ায় পরে থানায় গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক আমাদের অসহযোগিতা করেছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালগালাজ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই আহসানুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাদির আনিত অভিযোগ মিথ্যা। বাদি টাকা নিয়ে মামলা মীমাংসা করে এখন পুলিশের বিরুদ্ধে বদনাম করার পাল্টা অভিযোগ করছেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ওই স্কুলছাত্রী কিংবা তার মা-বাবার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে কিনা আমি জানি না। দেড় লাখ টাকা নিয়ে চুপ করে বসে আছেন বাদি ও তার পরিবারের লোকজন। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, এটা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই।
তবে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।