ক্যামেরার ব্যবসায় একটা সময় খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ফুজিফিল্ম। ২০০৩ ও ২০০৪ এর সময়ে ৫১ কোটি ডলারের মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল কোম্পানিটি। এটি একটি জাপান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরার আবির্ভাব হওয়ার পর থেকে এটি অনেকটা আড়ালে চলে যায়।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে তাদের মুনাফা নেমে যায় মাত্র ১০ লাখ ডলারে। হারানো অস্তিত্ব ফিরে পেতে ফুজিফিল্ম এর সময় লেগেছে মাত্র দুই দশক। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এক্স হান্ড্রেড সিরিজের ক্যামেরা। এর ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৬৮ কোটি ডলারের নিট মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয় জাপানের কোম্পানিটি।
ফুজিফিল্ম এর এক্স হান্ড্রেড-ভি ক্যামেরার ২৬ মেগাপিক্সেলের লেন্স রয়েছে। এটির চাহিদা এখন বাজারের তুঙ্গে। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে এত ডিভাইস সরবরাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিটি। চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকার কারণে নির্ধারিত দামের থেকে অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিভাইসটি।
অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পরেও ক্রেতাদের দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এটিকে ফ্যাশন এক্সেসরিজ ডিভাইস হিসেবে দেখছে ক্যামেরা প্রেমিকরা। টিকটক বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যারা কাজ করে থাকেন তারাই মূলত এ ক্যামেরার মূল গ্রাহক।
আজ থেকে ৯০ বছর আগে ফুজিফিল্ম তাদের যাত্রা শুরু করেছিল। ওই সময় আরেক ব্র্যান্ড কডাকের সাথে তুমুল প্রতিযোগিতা করে বাজারে টিকে থাকতে হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে কডাককে ছাড়িয়ে যায় এটির ব্যবসা।
তবে ফুজিফিল্ম এর এ বিজয় ছিলো খনস্থায়ী। কেননা এরপর মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরা ছবি তোলার মাধ্যম হিসেবে মানুষ ব্যবহার করতে থাকে। এরপর ক্যানন এবং অলিম্পাস বাজারের চাহিদার সাথে মিল রেখে পথ চলা শুরু করে। তবে ফুজিফিল্ম একেবারে ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়নি। ফুজিফিল্ম তাদের অধিকাংশ উৎপাদন চীনে নিয়ে যায়। করোনোর সময় টিকা কার্যক্রম চালিয়ে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে আবারও এর মূল ব্যবসা হয়ে উঠেছে ক্যামেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।