জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ হচ্ছে মহাবিশ্বের গবেষণার জন্য ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, টেলিস্কোপটি টাইম মেশিনের মত কাজ করে আমাদের মহাবিশ্বের শুরুর সময়ে নিয়ে গিয়েছে। নাসার টার্গেট অনুযায়ী সৌরজগতের বাইরের গ্রহের জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিও মিলেছে।
নাসা পরবর্তী সময়ে আরো বেশ কিছু ছবি উন্মোচন করেছে। এর আগে মানবজাতি মহাবিশ্বের এত দূর পর্যন্ত কখনো যেতে পারেনি। নক্ষত্রের গঠন, গ্যালাক্সি ক্লাস্টার ইত্যাদি বিষয়ে নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
সৌরজগতের বাইরের গ্রহে এই প্রথমবারের মতো মেঘের প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিও পাওয়া গিয়েছে। এটি নাসার জন্য সত্যিই বড় একটি সাফল্য।
নাসার প্রশাসক বিল নিলসন বলেছেন, প্রত্যেকটি ছবি এক একটি নতুন আবিষ্কার। মানবজাতি এর আগে মহাবিশ্বের এরকম দৃশ্য কখনো দেখেনি।
রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ছবি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জো বাইডেন বলেন, নাসার এই মিশনের সাফল্য প্রমাণ করে আমেরিকা মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছে।
টেকিস্কোপটি ধূলিকণা ও মেঘ ভেদ করে মহাবিশ্বের আরো অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পেরেছে। এর ফলে ১৩ বিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্বের গঠন কেমন সেটা দেখা সম্ভব হয়েছে। কাজেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন মহাবিশ্বের বয়স ১৩.৮ বিলিয়ন বছর।
প্রথম ছবি যেটা প্রকাশ করা হয় সেটা গ্যালাক্সি ক্লাস্টার SMACS এর ছবি। এটি সেই সময়ের চিত্র যখন সূর্য এবং পৃথিবী গঠিত হয়। এর ফলে আমাদের দেহে অক্সিজেন তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নতুন প্রকাশিত হওয়া এক চিত্রে দেখা যায়, এখানে ১৫০ মিলিয়ন পিক্সেল এর পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ ক্লাস্টার, গ্যাস-ধূলিকণা ইত্যাদির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই অভূতপূর্ব মিশনে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি একসাথে কাজ করছে।
কংগ্রেসম্যান স্টোনি হোয়ার বলেন, মানবজাতির দৃষ্টি গতকালের থেকে আজকে অনেক বড়। এই মিশনের টাইটেল দেওয়া হচ্ছে যে, “Gives a new meaning to as far as the eye can see”।
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ১৩০০ কোটি বছরের পুরোনো গ্যালাক্সির প্রথম ছবি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।