খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। যখন শ্রীলংকার সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করলো এবং রিজার্ভ একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছালো। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট। জনগণ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। অথচ মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলংকা।
শুধু ঘুরে দাঁড়ানো নয় বরং তারা বিভিন্ন দেশকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা শুরু করেছে। অথচ কয়েকদিন আগেও তা কল্পনা করা সহজ ছিল না। বাংলাদেশের কাছ থেকে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে ২২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলংকা। সেখান থেকে দ্রুত ৫০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দিতে চলেছে তাদের সরকার।
রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে শ্রীলংকা। তাদের পর্যটন খাত আবার পুনরায় উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক শ্রীলংকা আসার কারণে তাদের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত হচ্ছে।
পর্যটন খাত বাদেও শ্রীলংকার রেমিটেন্স থেকে আয় জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে রেমিটেন্স এবং পর্যটন খাত থেকে দেশটি আরও অর্থ পাবে বলে প্রায় নিশ্চিত। আগের বছর থেকে এ বছর শ্রীলংকার পর্যটন খাত থেকে আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে রেমিটেন্স থেকে আয় বেড়েছে ছিয়াত্তর শতাংশের উপরে। শিল্প উৎপাদনের দিক থেকেও শ্রীলংকা বড় চমক দেখিয়ে যাচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় ব্যাপক হারে উৎপাদন বেড়েছে সব ধরনের শিল্প খাতে।
চা সহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে শ্রীলংকা। শিল্প খাতের অনেক কিছু সংস্কার করে উন্নয়নে কাজ করছে দেশটির সরকার। যেমন কর বাড়ানো এবং ভর্তুকি কমানো।
সংকট কমাতে বিশ্ব ব্যাংক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সরকারের জন্য বিপদ কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়েছিল। চলমান বড় প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জরুরি খাতে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয় দেশটির সরকার। ফলে দেশটির জরুরী খাত থেকে জনগণ উল্লেখযোগ্য হারে সেবা পেতে শুরু করে।
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু নীতি পরিস্থিতির উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে। এর ফলে রেমিটেন্স ও পর্যটনের মত কিছু ক্ষেত্রে অটোমেটিক রিকভারি হয়েছে। এ দুটোর সমন্বয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।