জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রকারভেদে প্রতিমণ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন চাষিরা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার মাঠে মাঠে কৃষকের ধান কাটা মাড়াইয়ে কর্মব্যস্ত। চার মাস নিবিড় পরিচর্যার পর কাঙ্ক্ষিত সোনালী ধান এখন ঘরে তোলার পালা।
মৌসুমের শুরুতেই বাজারে প্রতি মণ মোটা ধানের দর ১ হাজার ৩০০ টাকায় উঠেছে আর সরু চিকন ধান ১ হাজার ৬০০ টাকা। বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় ধানের এ বাড়তি দরে কৃষক দারুণ খুশি।
এবার মৌসুমের শুরুতেই বরেন্দ্র জনপদের ওপর খরার ধকল গেছে। এর ওপর দফায় দফায় বেড়েছে কৃষি উপকরণের দাম। তাই চাষিদের দাবি, প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ২৩ থেকে ২৪ টাকা খরচ হয়েছে। আর মৌসুমের শুরুতে এবার ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাই এরকম টেকসই বাজার ধরে রাখার দাবি করেন কৃষকরা।
এক কৃষক বলেন, ধানের বাজার যদি এ রকম থাকে এবং ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট না করেন তাহলে কৃষকরা মোটামুটি লাভবান হবে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেনের দাবি, উচ্চ খরার কারণে বরেন্দ্র এলাকায় উচ্চফলনশীল ধানের জাত রোপনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করায় এবার ধানের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।