আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের রাজনীতির নাটকীয়তা আরও জমে উঠেছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে থেকে শুরু হওয়া জটিলতার নিরসন হয়নি এখনো। কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসন জিতে চমক দেখালেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি তারা।
অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) মিলেও পায়নি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন। তাই আরও দল নিয়ে জোট সরকার গঠন ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সেটি নিয়ে শুরু হয় দরকষাকষি। এর মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (এনএ) অধিবেশন ডাকতে অস্বীকৃতি জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পরে অবশ্য তাকে পাশ কাটিয়ে অধিবেশন আহ্বান করেন স্পিকার।
আজ বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন। তবে তার আগের দিনই পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ ঘোষণা দিলেন তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সেরা পছন্দ!
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নওয়াজ শরিফ তার দল থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেছেন। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শাহবাজ।
এ সময় তিনি আগের দফায় শাহবাজের প্রধামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান সংকট থেকে বের করে আনতেও শাহবাজ ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এর আগে ভোটের এক সপ্তাহের মধ্যেই অবশ্য পিএমএল-এন মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পরিবর্তে শাহবাজ শরিফের নাম ঘোষণা করেছিলেন তাদের প্রার্থী হিসেবে। সে সময় তিনি বলেছিলেন, পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনীত করেছেন। তবে পিপিপির সঙ্গে জোটের দরকষাকষির কারণে সেটি তখন চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। পিপিপি এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলটি পিএমএল-এনকে সাহায্য করবে কিন্তু তারা সরকারের অংশ হবে না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো মন্ত্রীও তাদের দল থেকে হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসন এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয় লাভ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।