বিনোদন ডেস্ক: লোকগানের দল ‘নকশীকাঁথা’ প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি। শুরু থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাম না জানা সাধকদের গান সংগ্রহ ও তাঁদের সান্নিধ্যে এসে নিজেদের সমৃদ্ধ করে চলেছেন ব্যান্ডের সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি ও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে লোকগানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের রূপটি তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
নকশীকাঁথার ভোকাল সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘নিজের গড়া ব্যান্ডের দেড় দশক পূর্তি অনেক বড় ঘটনা। এ উপলক্ষে আমরা উৎসব করতে চেয়েছিলাম। গত এক মাস আগে থেকে পরিকল্পনাও করছিলাম। আগামী এক সপ্তাহে চারটা টেলিভিশনে লাইভ করার কথাও পাক্কা ছিল। কিন্তু গত ৬/৭ দিনে আমাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই কয়েকদিনে আমিসহ ব্যান্ডের তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। কাজেই সব ধরনের আয়োজন ও কনসার্ট থেকে বিরত আছি’।
তিনি বলেন, দেড় দশক পূর্তি উদযাপন করতে না পারার জন্য একটা বেদনাবোধ কাজ করছে ঠিকই। তবে আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ নিশ্চয় সব কিছু আমাদের ভালোর জন্য করেন।
১৫ বছরে নকশীকাঁথার অ্যালবাম বেরিয়েছে দুটি। ২০০৮ সালে ‘নজর রাখিস’ প্রকাশিত হয়েছে ডেটলাইন মিউজিক থেকে। ২০১৬ সালে ‘নকশীকাঁথার গান’ শিরোনামে দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশিত হয় লেজারভিশন থেকে। অ্যালবাম ও একক গান মিলিয়ে এ পর্যন্ত তাদের ৫০টির বেশি মৌলিক গান প্রকাশিত হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের আগস্টে বন্ধু দিবসে ‘তোর জন্য’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশিত হয়েছে নকশীকাঁথার ইউটিউব চ্যানেল থেকে। শৈশবের বন্দীত্ব নিয়ে সাজেদ ফাতেমীর লেখা ও সুরের একটি গান শিগগির প্রকাশ করছে ধ্রুব মিউজিক।
সাজেদ ফাতেমী বলেন, সবকিছুতে ভাঙ্গা-গড়া থাকে। ব্যান্ডেও আছে। এটি আমাদের মানসিকতার সংকট। সেই সংকট আমরা তিনবার মোকাবিলা করার পর গত প্রায় সাত বছর থেকে আমাদের বর্তমান লাইন-আপ বহাল আছে।
নকশীকাঁথার লাইন আপ: ভোকাল ও দলপ্রধান- সাজেদ ফাতেমী। কাহন ও ড্রামস-বুলবুল সাহা। লিড গিটার, রাবাব, ম্যান্ডোলিন ও দোতারা- জে আর সুমন। বেইজ গিটার- ফয়সাল। কি-বোর্ড, হারমোনিকা ও অ্যাকোর্ডিয়ান-রোমেল হাসান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।