পূর্ণাঙ্গ নক্ষত্রের যাত্রা শুরু হওয়ার পূর্বশর্ত হলো ভারসাম্যপূর্ণ ফিউশন বিক্রিয়া। শুরুতে প্রোটোস্টার বা আদি নক্ষত্রের মধ্যে কোনো ফিউশন ঘটে না। কিন্তু ভয়ংকর শক্তিশালী মহাকর্ষের প্রভাবে একসময় সেখানে থাকা হাইড্রোজেন পরমাণুর নিউক্লিয়াসগুলো একে অন্যের খুব কাছে এসে অংশ নেয় ফিউশনে।
দুটি হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস মিলে তৈরি হয় একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস। উপজাত হিসেবে অবমুক্ত হয় বিপুল শক্তি। মূলত প্রোটোস্টারের তাপমাত্রা ১০ মিলিয়ন কেলভিন অতিক্রম করলেই শুরু হয় ভারসাম্যপূর্ণ ফিউশন বিক্রিয়া। প্রোটোস্টার পর্যায় থেকে পূর্ণাঙ্গ নক্ষত্রে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সময় নির্ভর করে এর ভরের ওপর। ভর যত বেশি হবে, তত দ্রুত শুরু হবে ফিউশন। আমাদের সূর্যের মতো নক্ষত্রদের বেলায় প্রোটোস্টার থেকে কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে মূল নক্ষত্রে পরিণত হতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছরের মতো।
যে বিশাল আকারের গ্যাসীয় মেঘ থেকে প্রোটোস্টারের জন্ম, তা নিজেও ঘূর্ণনশীল থাকে। ফলে সেখানে থাকা গ্যাসগুলো একধরনের বহির্মুখী বল অনুভব করে। এই বল কাজ করে শক্তিশালী মহাকর্ষের বিপরীতে। বিষয়টি সহজে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ কল্পনা করা যেতে পারে।
আমাদের সবারই নিশ্চয়ই কম-বেশি বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা আছে। বাসগুলো যদি উচ্চগতিতে বাঁক নেয়, তাহলে আমরা বাইরের দিকে একরকম ছিটকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হই, তাই না? বিষয়টি সবচেয়ে ভালো টের পাওয়া যায় শাপলা চত্বরের মতো গোল আকৃতির চত্বরগুলোতে বাঁক নেওয়ার সময়। ঠিকভাবে হাত দিয়ে ধরে ভারসাম্য বজায় না রাখলে সে সময় বাসের সিটে সোজা হয়ে বসে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।