জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রাহকের কাছ থেকে নানান কৌশলে পিন নম্বর এবং ওটিপি জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্টের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে নগদ-এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের (ডিবি) গোয়েন্দা শাখা।
তারা প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে ডিবি।
গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুরের মো. আসাদুল (৩৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৩২) এবং নরসিংদী সদরের খবিরুল ইসলাম (৩২)।
ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ প্রাথমিক পর্যায়ের এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়ের মোবাইল নম্বরে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গত বছরের দুই প্রান্তিকের উপবৃত্তি বিতরণ করেছে। কৌশলে এই টাকাই একটি চক্র হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
এপ্রিলের শুরুর দিকে রাজধানীর বনানী মডেল থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করে নগদ। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটিও।
নগদ-এর অভিযোগ এবং অভ্যন্তরীণ তদন্তের সূত্র ধরেই এই তিন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মহিদুল ইসলাম জানান, অঞ্চলভেদে প্রতারকরা লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা শিক্ষা অধিদফতর, শিক্ষাবোর্ড বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সেজে শিক্ষার্থীদের অভিভাবককে ফোন করে। পরে কথা বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও। এর মাধ্যমে তাদের নাম, তারা কোন স্কুলে পড়ে সেটাও জেনে নেন।
এরপর প্রতারকরা বলে, একটি সমস্যা হয়েছে। একটি ম্যাসেজ পাঠাচ্ছি। ম্যাসেজটা পড়ে আমাকে পাসওয়ার্ডটা বলো। এ কথা শুনে যারা পাসওয়ার্ড দেয়, তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে তারা সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এজেন্টের কাছে গিয়ে ক্যাশআউট করে নিত।
নরসিংদী সদরের যিনি ধরা পড়েছেন তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী বলে জানায় ডিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।