স্পোর্টস ডেস্ক: গত ২৮ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। মানসিক ক্লান্তি থেকে রেহাই পেতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন।
এরপর তাকে বেশ কয়েকবার সিদ্ধান্ত ভেবে দেখার অনুরোধ জানালেও তিনি তার সিদ্ধান্তে থাকেন অটল। অবশেষে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ছোটনকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের চিঠি দিয়েছে বাফুফে।
চিঠিতে বাফুফে লিখেছে, ‘বাংলাদেশের অন্যতম সফল ও সার্থক ফুটবল প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বিগত ২০০৬ সালে ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে বাফুফেতে যোগদান করেন। তিনি বিগত ২০০৯ সাল হতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।’
‘গোলাম রব্বানী ছোটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক ফুটবল দল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২। যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ’
‘বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবল দলের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটনের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ ফুটবল দলের মো. গোলাম রব্বানী ছোটনের উত্তরোত্তর সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কামনা করছে।’
কিন্তু কোচিংকে সহসাই ছাড়া হচ্ছে না ছোটনের। কেননা তিনি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী ফুটবল দলের কোচ হিসেবে।
জানা গেছে গত ২ জুলাই থেকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। ছোটন বলেন, ‘আমি দুই মাসের জন্য সাময়িক ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী ফুটবল দলকে প্রশিক্ষণ করাচ্ছি। তারা পুরুষ ফুটবলের মতো নারী ফুটবলারদের নিয়েও দল গড়ছে। সেই দলের সাময়িক দায়িত্ব পালন করছি আমি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।