বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আলো নিভু নিভু পিসির বাজারে করোনাকালে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম হোক বা অনলাইন ক্লাস। ফোনের তুলনায় যে একটা কম্পিউটার হলেই বেশি সুবিধা, তা বুঝতে শুরু করেছেন ব্যবহারকারীরা।
মাইক্রোসফ্টের মডার্ন লাইফ, সার্চ অ্যান্ড ডিভাইসেস-এর কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ মেহেদী বলেন, হাইব্রিড কাজ এবং অনলাইন পড়াশোনা বেড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মানুষের প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তায় একটি মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। লোকেরা বুঝতে পারছে যে পিসি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডিভাইস। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দিকটাতেই আমরা নজর দিয়েছি।
গত ২ বছর ধরে আরও বেশি কম্পিউটার বিক্রি হচ্ছে। এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান। তিনি বলেন, মহামারির আগে অনেকে ভাবতে শুরু করেছিল, কম্পিউটারের সব কাজই ফোনে হয়ে যায়। তবে এখন সকলের ধারণা বদলাচ্ছে। এমন অনেক কাজই রয়েছে যা পিসিতে আরও ভাল হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রের উদাহরণ তুলে ধরেন। মেহেদী বলেন, এমন ছাত্রদের কম্পিউটারেই কোড লিখতে হবে, কম্পাইল করতে হবে। এসব কাজ কম্পিউটার ছাড়া হবে না। ফোনে এতটা করা যায় না। সত্যি বলতে, আপনার পুরনো ফোন আর নতুন ফোনটার মধ্যে তেমন কিছু পার্থক্য নেই। এই ধরুন আগের তুলনায় আরও বেশি মেগাপিক্সেলের একটা ভালো ক্যামেরা আছে। তবে পিসি সময়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
ভারতে পিসি-র ব্যবসার ভবিষ্যত উজ্জ্বল, আশাবাদী তিনি। তবে এর সঙ্গে দেশের সমস্ত প্রান্তে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তারও উল্লেখ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।