আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগান শরনার্থীদের ঢুকতে দিতে চায় না তুরস্ক। সীমান্তের বেশিরভাগ অংশে প্রায় ১০ ফুট উচুঁ দেয়াল ও কাঁটাতার স্থাপন করেছে তারা। ইরানের মধ্য দিয়ে হেঁটে তুরস্ক সীমান্তে পৌঁছানোর পর এসবই দেখছেন আফগান শরনার্থীরা।
রবিবার (২২ আগস্ট) এসব জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে ৪০ লাখ সিরিয়ানকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া দেশটিতে এক লাখ ৮২ হাজার তালিকাভুক্ত আফগান শরনার্থী আছে, তালিকার বাইরে আছে আরও এক লাখ ২০ হাজার। এই অবস্থায় ফের নতুন করে আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে অনাগ্রহী তুরস্ক।
তুরস্কের পূর্ব সীমান্ত প্রদেশ ভ্যানের গভর্নর মেহমেট এমিন বিলমেজ বলেছেন, আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাতে চাই যে আমাদের সীমান্ত অনতিক্রম্য।
এদিকে তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দেওয়াল এবং নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করেছে গ্রিস। আফগান শরনার্থী ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই গ্রিস এমন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার (২১ আগস্ট) এসব জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিসের নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী মিকালিস ক্রিসোচয়েডিস বলেছেন, আমরা সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করতে পারি না।
আফগান অভিবাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তুরস্ক ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর পরই এই মন্তব্য করলেন গ্রিসের মন্ত্রী।
গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, আফগানিস্তান ত্যাগ করা লোকের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।