করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশে করোনার বিস্তার বেড়ে যাওয়া নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে।
এরমধ্যে নতুন করে ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও যশোরের কয়েকটি এলাকা ‘রেড জোন’ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য নেওয়া হয়েছে।
ফেনী
ফেনী জেলার- ফেনী পৌরসভাসহ রামপুর, ডাক্তার পাড়া, শান্তি কোম্পানি রোড এলাকা ও দাগনভূঁঞা উপজেলাধীন পৌরসভা, ইয়াকুবপুর, পূর্বচন্দ্রপুর, রাজাপুর ইউনিয়ন এবং ছাগলনাইয়া পৌরসভাকে অত্যাধিক ঝুঁকি বিবেচনায় (রেড জোন) করে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবত থাকবে।
ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, লকডাউন চলা অবস্থায় সাপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নিত্যপণ্য দোকান খোলা রাখা যাবে। আর সবজি, মাছসহ কাচাঁবাজার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ওষুধ প্রতিষ্ঠান। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
নরসিংদী
করোনার সংক্রমণ রোধে নরসিংদীর মাধবদী পৌর এলাকার কিছু অংশ লকডাউন হয়েছে। (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাত থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়।
জানা গেছে, মাধবদী পৌরসভার ৪ও ৫ নং ওয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ বিরামপুরে কঠোরভাবে এই লকডাউন কার্যকর করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাইলট কার্যক্রম হিসেবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন চলবে।
নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুইক রেসপন্স টিমের আহ্বায়ক শাহ আলম মিয়া জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি সিদ্ধান্তে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর করা হয়েছে লকডাউন। শুধু চিকিৎসা ও ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাকি সব কিছুই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কেবল জরুরি সেবা ছাড়া শুক্রবার থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে নবীনগর করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ মাসুমের স্বাক্ষরযুক্ত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লকডাউনভুক্ত এলাকাগুলো হলো- টিএন্ডটি পাড়া, কলেজ পাড়া, পশ্চিম পাড়া, হাসপাতাল পাড়া ও ভোলাচং। লকডাউন বিধিমালা অনুযায়ি এসব এলাকার মানুষ বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরে থেকেও ঘোষিত এসব এলাকায় অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় এনে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত পৌর এলাকায় জরুরি সেবা সার্ভিসের পরিবহন ব্যতিত সব ধরনের যান ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকারও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যশোর
এছাড়া যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ও নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, অভয়নগরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিন বাড়তে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরো উপজেলা লকডাউন না করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে সর্বনিম্ন ১৪ দিনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে লকডাউন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে (বাগদাহ গ্রাম) লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে উপজেলাধীন নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।