করোনাভাইরাস সংক্রমণ জেলায় জেলায় বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ করোনার হটস্পট হয়ে ওঠায় এক সপ্তাহ বিশেষ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এই সংক্রমণ বাড়ছে। তাদের অনেকে করোনা পজিটিভ হয়েছেন, শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও খুলনায় লকডাউন দেওয়া হতে পারে। সরকার এখনও তাদের সিদ্ধান্ত দেয়নি বলেও জানান তিনি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে যখন সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে গেলো তখন সেখানে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার বাড়ার পর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এর আশপাশের জেলা, যেমন- সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও খুলনায়ও সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে এখনও সেখানে সংক্রমণের হার শতকরা ২০-এর নিচে অথবা গড়ে ২০-এর মতো।
তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, চিন্তা করছি সেখানে লকডাউন দেওয়া হবে কিনা। দেখা যাক কী হয় যোগ করেন তিনি। খুরশিদ আলম বলেন, ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে এমন আট জন রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের। এদের সবার ভারতে ভ্রমণের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তারা সবাই ভালো আছেন। তবে লকডাউন করতে হবে যদি সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত অন্যান্য জেলায় সেভাবে আমরা দেখছি না।
এর আগে শুক্রবার (২৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় ভেরিয়েন্ট দেশজুড়ে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, রাজশাহী এবং খুলনাতে লকডাউনের পরিকল্পনা আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন চলছে। আরও তিনটি জেলা লকডাউনের জন্য পর্যবেক্ষণে রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লে ওইসব জেলা লকডাউনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের ওপরে হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭ থেকে ২৩ মে এই এক সপ্তাহের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, আগের সপ্তাহের (১০ থেকে ১৬ মে) তুলনায় ২২টি জেলায় নতুন রোগী বৃদ্ধির হার শতভাগ বা তার বেশি ছিল। এগুলোর মধ্যে ১৫টি জেলাই সীমান্তবর্তী। এই জেলাগুলোর মধ্যে ৯টির প্রতিটিতে এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।