মো. জাকির হোসেন: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি দুটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সরকার নতুন গীত গাইছে’ বলে অভিযোগ করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এ রকম বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার ‘গীত’ কি নতুন? আওয়ামী লীগ এই ‘গীত’ রচনা করেছে কি? অবশ্যই না। খুনি ফারুক ও রশিদ জিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়ে সর্বপ্রথম ‘গীত’ পরিবেশন করেন।
১৯৭৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় খুনি আব্দুর রশিদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদে বলা হয়, ‘মেজর আব্দুর রশিদ মেজর জেনারেল জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, জিয়া যদি তাঁদের দাবি মেনে না নেন, তাহলে শেখ মুজিব ও অন্যান্য নেতাকে হত্যার ব্যাপারে জিয়ার যে ভূমিকা রয়েছে, সে সম্পর্কে সব গোপন তথ্য তাঁরা ফাঁস করে দেবেন।’ ওই বছরেরই ৩০ মে দ্য সান ডে টাইমসে খুনি ফারুক রহমানের বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানেও জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রকাশ পায়। ফারুক রহমান বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘খন্দকার মোশতাকের ভাগ্নে ও আমার ভায়রা আব্দুর রশিদ প্রথমে আমার কাছে মুজিবকে সরিয়ে খন্দকার মোশতাককে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর প্রস্তাব দেন। আমি তাতে রাজি হই ও মেজর জেনারেল জিয়াকে সেনাবাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব দিই। মুজিবকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণের পর মোশতাক ও জিয়া আমাদের পরিকল্পনায় সম্মত হন।’ ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস আইটিভির ‘World in Action’ প্রগ্রামে খুনি রশিদ ও ফারুকের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন। সাক্ষাত্কারে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা খুনিরা আবারও প্রকাশ করেন। ফারুক-রশিদ বলেছেন, হত্যা চক্রান্তের বিষয়ে ১৫ই আগস্টের বহু আগেই জিয়াকে তাঁরা অবহিত করেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিয়াউর রহমানকে অবহিত করা হয় এবং তিনি এগিয়ে যাওয়ার গ্রিন সিগন্যাল দেন।
ফারুক-রশিদের দাবি অনুযায়ী জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন কি না, এ সন্দেহ দূর করতে মাসকারেনহাস ১৯৭৬ সালে জিয়ার সাক্ষাত্কার নেওয়ার সময় জিয়াকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জিয়া এই প্রশ্নে নিরুত্তর ছিলেন।
মাসকারেনহাসের ভাষায়, ‘In July 1976, while doing a TV programme in London on the killing of Sheikh Mujib I confronted Zia with what Farook had said.’ জিয়া এ ব্যাপারে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। জিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে মাসকারেনহাস লেখেন, ‘Zia did not deny it- nor did he confirm it.’ মাসকারেনহাস তাঁর বই ‘Bangladesh- A Legacy of Blood’-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনার বিষয়ে জিয়ার সঙ্গে খুনি রশিদ ও ফারুকের কথোপকথনের বিষয়, তারিখ, সময়, স্থান, ক্ষণ উল্লেখ করে লিখেছেন, ফারুক জানান, ২০ মার্চ ১৯৭৫ সালে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি জিয়ার বাসায় জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে বলেন, ‘The country required a change.’ উত্তরে জিয়া বলেন, ‘Yes, yes, let’s go outside and talk.’ তখন জিয়া ফারুককে নিয়ে বাড়ির লনে যান। সেখানে ফারুক আবার বলেন, ‘We have to have a change. We, the junior officers, have already worked it out. We want your support and leadership.’
জিয়া উত্তরে বলেন, ‘If you want to do something, you junior officers should do it yourself…’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়ে খুনি রশিদ মাসকারেনহাসকে যা বলেছেন তা সত্যি কি না যাচাই করতে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ ১৯৯৭ সালে ইউরোপে রশিদের সাক্ষাত্কার নেন। রশিদ সেই সাক্ষাত্কারেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে জিয়ার সঙ্গে অনেকবার আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। লিফশুলজের ভাষায়, ‘In 1997 I met Rashid for several hours in an European city… I went over with him exactly what he had told Mascarenhas about Zia’s involvement. Rashid confirmed to me the accuracy of his interview with Mascarenhas. He (Rashid) had met General Zia numerous times prior to the coup and that Zia was fully in the picture.’
জিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়ে ফারুক, রশিদ ও জোবায়দা রশিদের বক্তব্য ছাড়াও আরো তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। অশোক রায়না তাঁর বই ‘ইনসাইডর দ্য স্টোরি অব ইন্ডিয়াস সিক্রেট সার্ভিস’-এ লিখেছেন মুজিবের বিরুদ্ধে ক্যুর ব্যাপারে খুনিদের সঙ্গে জিয়ার মিটিংয়ের পরে একটি স্ক্র্যাপ পেপার জিয়ার বাড়ির ট্রেস থেকে উদ্ধার করা হয়। ক্যু পরিকল্পনার স্ক্র্যাপ কাগজটি যত্নসহকারে গার্বেজ করা হলেও RAW-এর একজন গুপ্তচর গৃহভৃত্যের মাধ্যমে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দিল্লি পাঠানো হয়। এই স্ক্র্যাপ কাগজে যাঁদের নাম ছিল তাঁরা হলেন—জিয়াউর রহমান, মেজর ফারুক, মেজর রশিদ, মেজর শাহরিয়ার ও জেনারেল ওসমানী। ওই সময়ে যে RAW সক্রিয় ছিল তার প্রমাণ মেলে দিল্লি ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের কর্ণধার ও স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) দীপঙ্কর ব্যানার্জির কথায়।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘খবর ছিল যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটা অংশ মুজিবের বিরুদ্ধে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান আর এন কাও ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় গিয়ে খোদ মুজিবকে বলেও ছিলেন যে তাঁর জীবনের ওপর হামলা হতে পারে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। খুনি রশিদের স্ত্রী জোবায়দা রশিদও ফারুক ও রশিদের সঙ্গে জিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জোবায়দা রশিদ বলেন, ‘একদিন রাতে ফারুক জিয়ার বাসা থেকে ফিরে আমার স্বামীকে (রশিদ) জানান যে সরকার পরিবর্তন হলে জিয়া প্রেসিডেন্ট হতে চান। শুধু তা-ই নয়, জিয়া বলেন, If it is a success then come to me. If it is a failure then do not involve me. জিয়া আরো বলেছেন, শেখ মুজিবকে জীবিত রেখে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এর কয়েক দিন পর মেজর ফারুক আমার বাসায় এসে রশিদকে বলেন যে জিয়া বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খুঁজতে হবে, যিনি দায়িত্ব নিতে পারবেন। সে মোতাবেক রশিদ খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামসি লেনের বাসায়। ১৬ অথবা ১৭ তারিখ সাবেক মন্ত্রী সাইফুর রহমানের গুলশানের বাসায় সাইফুর রহমান, আমার স্বামী ও জিয়ার উপস্থিতিতে জিয়াকে চিফ অব আর্মি স্টাফ করার বিষয় ঠিক হয়।’ খুনি ফারুক তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, “১৯৭৪ সালের শেষের দিকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় তত্কালীন ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান আমার বাসায় হেঁটে আসতেন। তিনি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেন এবং একসময় বলছিলেন, ‘তোমরা ট্যাংকটুংক ছাড়া দেশের আর খবরাখবর রাখো কি?’ আমি বলি, দেখতেছি তো দেশে অনেক উল্টাসিধা কাজ চলছে। আলাপের মাধ্যমে আমাকে ইনস্টিগেট করে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘দেশ বাঁচানোর জন্য একটা কিছু করা দরকার।’ এপ্রিল মাসের এক রাতে আমি জিয়াউর রহমানের বাসায় যাই। দেশের পরিস্থিতি খারাপ বলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়। সাজেশন চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কী করতে পারি, তোমরা করতে পারলে কিছু করো।’ পরে আমি রশিদের বাসায় গিয়ে জিয়ার মতামত তাঁকে জানাই। রশিদ তখন বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। এটা পলিটিক্যাল ব্যাপার। আমি ডিল করব।’ রশিদ পরে জিয়া ও খন্দকার মোশতাক আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে খন্দকার-রশিদ জানান যে শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারলে জিয়াও আমাদের সমর্থন দেবেন। ১৫ই আগস্ট ঘটনার পর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে চিফ অব আর্মি স্টাফ করার বিষয়ে সাইফুর রহমানের বাড়িতে মিটিং হয়। জিয়া, রশিদ ও সাইফুর রহমান মিটিং করেন। পরে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হবেন, সাইফুর ও রশিদ মন্ত্রী হবেন, ওই উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমানকে চিফ অব আর্মি স্টাফ করা হয়।” তাহেরউদ্দিন ঠাকুর জবানবন্দিতে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট সচিবালয়ে পৌঁছাই। খন্দকার মোশতাক বলেন, এ সপ্তাহে ব্রিগেডিয়ার জিয়া দুইবার এসেছিলেন। তিনি এবং তাঁর লোকেরা তাড়াতাড়ি কিছু একটা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন। আমি জিজ্ঞেস করায় খন্দকার মোশতাক জানান যে বলপূর্বক মত বদলাইতে চান, প্রয়োজনবোধে যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত। খন্দকার মোশতাককে জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান যে তিনি তাঁর মতামত দিয়েছেন। কারণ এ ছাড়া অন্য আর কাজ কিছু নেই।’
ঢাকা সেনানিবাসের তত্কালীন স্টেশন কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবদুল হামিদ জবানবন্দিতে বলেছেন, “১৪ আগস্ট বিকেলে জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল মামুন, কর্নেল খোরশেদ ও আমি টেনিস খেলছিলাম। তখন আমি চাকরিচ্যুত মেজর ডালিম ও মেজর নূরকে টেনিস কোর্টের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। প্রকৃতপক্ষে এঁদের দুজনকে আগস্টের প্রথম থেকে এভাবে টেনিস কোর্টের আশপাশে দেখতে পাই, যা আমার কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। কারণ তাঁরা চাকরিচ্যুত জুনিয়র অফিসার। একই দিন জেনারেল সফিউল্লাহ আমাকে বলেন, ‘এরা চাকরিচ্যুত জুনিয়র অফিসার, এরা কেন টেনিস খেলতে আসে?’ আমাকে তিনি বলেন, ‘এদের মানা করে দেবেন, এখানে যেন এরা না আসে।’ খেলা শেষে আমি মেজর নূরকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমরা কার অনুমতি নিয়ে এখানে খেলতে আসো?’ জবাবে নূর জানায়, জেনারেল জিয়ার অনুমতি নিয়ে তারা এখানে খেলতে আসে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসামিদের বিবৃতি, টেলিভিশন সাক্ষাত্কার, আদালতে আসামি ও সাক্ষীদের প্রদত্ত জবানবন্দি ছাড়াও বেশ কিছু বইয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাসকারেনহাস রচিত ‘Bangladesh- A Legacy of Blood’, মার্কিন সাংবাদিক লিফশুলজের ‘Anatomy of A Coup’, অশোক রায়নার বই ‘Inside RAW : The Story of India’s Secret Service’, ভারতের সাবেক কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জির বই ‘India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan (A Political Treatise)’ , সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্তর বই ‘মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র’, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক উপচেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম লিখিত গ্রন্থ ‘Making of a Nation Bangladesh- An Economist’s Tale’, এ এল খতিবের বই ‘Who Killed Mujib’ এবং পরেশ সাহার ‘মুজিব হত্যার তদন্ত’।
খুনি ফারুক ও রশিদ জিয়ার জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা একাধিকবার উল্লেখ করেছেন। জিয়া তাঁর বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করার কারণে কেন খুনি ফারুক ও রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না? অভিযোগ অস্বীকার করে কোনো বিবৃতি কেন দিলেন না? তিনি তো একাধারে প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান হিসেবে অত্যন্ত ক্ষমতাধর ছিলেন। খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, অন্য কেউ যাতে ব্যবস্থা নিতে না পারে সে জন্য দায়মুক্তিকে পাকাপোক্ত করলেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের অংশে পরিণত করলেন। কেন? বাস্তব জীবনে আমরা দেখতে পাই, কেউ খুনের মামলায় জড়ালে তাঁকে যাঁরা বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা হয় তাঁর আত্মীয়-স্বজন কিংবা খুনের হুকুমদাতা, ষড়যন্ত্রকারী। জিয়া তো খুনিদের কারো আত্মীয় ছিলেন না। তাহলে খুনিদের বাঁচাতে হত্যার বিচার চাওয়ার পথ সাংবিধানিকভাবে রুদ্ধ করতে কী স্বার্থ ছিল জিয়ার? খুনি ফারুক-রশিদ জিয়ার বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যা অভিযোগ করা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগকারীদের জিয়া দূতাবাসে চাকরি, পদোন্নতি দিলেন? সাক্ষ্য আইনে একটা প্রবাদ আছে, ‘ Witness may lie but circumstances do not. ’ অর্থাত্ সাক্ষীরা মিথ্যা বলতে পারে কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা/সাক্ষ্য মিথ্যা বলে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার ‘গীত’ আওয়ামী লীগ পরিবেশন করার বহু আগেই দেশে-বিদেশে অনেকে প্রামাণ্য দলিলের ভিত্তিতে ‘গীত’ রচনা ও পরিবেশন করেছেন।
লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।