স্পোর্টস ডেস্ক: ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধে কিশোরগঞ্জে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রচারণা চালিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় আশরাফুলের সাথে গ্যালারির পরিচিত মুখ টাইগার সোয়েব উপস্থিত ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা এবং টাইগার সোয়েবকে পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
‘সুখী কিশোরগঞ্জ’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ডেঙ্গু রোধে কিশোরগঞ্জ-এর দ্বিতীয় বছরের সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন তারা।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আশরাফুল জেলা শহরের এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের গল্পের ছলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও এডিস মশা থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তা তুলে ধরেন। এ সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০টি করে ডেঙ্গু বিষয়ক প্রচারপত্র দেওয়া হয় মানুষের মাঝে বিলি করার জন্য। শিক্ষার্থীরা ক্রিকেটার আশরাফুলের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তারাও ডেঙ্গু রোধে কাজ করার অঙ্গীকার করে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রচারণা ও আলোচনা সভায় এসভি সরাকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ কবীর, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আব্দুল্লাহ, ডেঙ্গু রোধে কিশেরগঞ্জ উদ্যোগের সমন্বয়কারী জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শহীদুল হক লাভলু, জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. খালেকুল ইসলাম ববি, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি, বিজ্ঞান একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম মনি উপস্থিত ছিলেন।
পরে আশরাফুল কিশোরগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক এক পরামর্শ সভায় যোগ দেন। ওই পরামর্শ সভায় ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। সভায় মূল নিবন্ধ পাঠ উপস্থাপন করেন ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে, করোনা মহামারি মাঝে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা গেছে। আমরা একটু পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে, সচেতন না হওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে সিট পাচ্ছে না, চিকিৎসা পাচ্ছে না। এই কারণেই আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা নেমেছি। আজ কিশোরগঞ্জের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচারণা চালিয়েছি। সবাই সচেতন হলে, এডিস মশার বাসস্থানগুলো ধ্বংস করতে পারলে আশা করি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।